নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রায় দশ মিনিট ধরে তিনি মনোযোগ সহকারে ছবিগুলি দেখছিলেন। মুখের মাস্ক বাধা হচ্ছিল। তাই তিনি সেটাও খুলে ফেললেন। তার পর বিনা বাধায় মনোযোগ সহকারে ডুব দিলেন নীল ছবিগুলিতে। প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়ল সিসিটিভি-তে। আর সেই ফুটেজ ভাইরাল হল মুহূর্তে। এই পর্যন্ত পড়ে অস্বাভাবিক কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না তাই তো! কে, কেমন ছবি দেখবেন সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঠিকই। তবে একজন সাংসদ কি সংসদে বসে মনোযোগ সহকারে এমন ছবি দেখতে পারেন! তাও আবার সংসদে যখন বাজেট পেশ করা হচ্ছে! এই নিয়েই জোর সওয়াল উঠেছে। থাইল্যান্ডের সাংসদ রোনথেপ অনুওয়াতের এমন কাণ্ড নিয়ে হইহই কাণ্ড। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাঁকে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনও এক মহিলা তাঁকে হোয়াটস অ্যাপে ওই ছবিগুলি পাঠিয়েছিলেন। সেই মহিলা তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। আর তাই রোনথেপ মোবাইলে ঝুঁকে পড়ে কাছ থেকে ছবিগুলি দেখছিলেন। আসলে তিনি ছবিটিতে থাকা আশেপাশের পরিবেশ যাচাই করে দেখতে চাইছিলেন। কারণ তাঁর মনে হচ্ছিল, দুষ্কৃতিরা বন্দুকের নলের সামনে রেখে ওই মহিলাকে ওরকম ছবি তুলতে বাধ্য করেছিল। প্রায় দশ মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণের পর তিনি বুঝতে পারেন যে সেরকম কিছুই ঘটেনি। সেই মহিলা আসলে তাঁর কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছিলেন। তবে তাঁর এমন যুক্তিতে চিড়ে ভেজেনি। সংবাদমাধ্যম তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে যেন! রোনথেপ অবশ্য পরে বলেছেন, সাংসদ হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করাটা শোভনীয় আচরণ নয়।


আরও পড়ুন-  মাস্ক না পরলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কবরখানায়! আজব শাস্তিতে বিশ্বজুড়ে হইচই


এরই মধ্যে রোনথেপের কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন ঘটনা সত্যি বলে প্রমাণিত হলেও রোনথেপের কোনও শাস্তি হবে না। কারণ পার্লামেনট-এ কেউ নীলছবি দেখলে তাঁর কী শাস্তি হতে পারে তার নিদান থাইল্যান্ডের আইনের বইতে নেই। এমনকী সংসদের স্পিকারও সংবাদমাধ্যমে আর্জি জানিয়েছেন, কারও ব্যক্তিগত পরিসরে যেন উঁকিঝুকি না দেওয়া হয়!