নিজস্ব প্রতিবেদন: কত অঘটন আজও ঘটে। 'অঘটন'ই বা বলা যায় কী ভাবে? একটি দেশের তো অধিকার রয়েছে, কোন ক্যালেন্ডার তারা ব্যবহার করবে তা ঠিক করার। সেটাই করেছে এই দেশটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা বিশ্বে ২০২২ সাল শুরু হয়েছে। কিন্তু এই দেশে এখনও ২০১৩ সাল চলছে। দেশটি আফ্রিকার। এই দেশটিতেই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত স্থানের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। বিশ্বের গভীরতম এবং দীর্ঘতম গুহা এখানেই। আবার বিশ্বের সব চেয়ে উষ্ণতম স্থানও এই অঞ্চলেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ এই দেশ। জানেন কোন দেশ? নাম তার ইথিওপিয়া।


কিন্তু কেন এই দেশটিতে এখন ২০১৩ সাল? কারণ, ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডারে বিশ্বের প্রচলিত ক্যালেন্ডার থেকে ৯ বছর পিছিয়ে। এদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার রয়েছে। যেটি চলতি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে সাড়ে আট বছর পিছিয়ে রয়েছে। এখানে নতুন বছর উদযাপিত হয় ১১ সেপ্টেম্বরে। ১২-র বদলে প্রতি ১৩ মাস পরে এখানে বছর আসে। আর এক আশ্চর্য ব্যাপার রয়েছে এই দেশের দিনপঞ্জিতে। গ্রিক ভাষায় 'প্যাগিউম' বা ইংরেজিতে 'ফরগটেন ডেজ' নিয়ে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারে তৈরি হয় একটি আস্ত মাস! মোট কথা, এদের ক্যালেন্ডার এখনও ২০১৩ সালেই আটকে থাকায় ইথিওপিয়ায় ভ্রমণে যাওয়া লোকজনের সে দেশে হোটেল বুকিং ও অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই বেশ সমস্যা ঘটে।


গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে বিশ্বে চলত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। ফলে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারকে সরিয়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার যখন এল, তখন অনেক দেশ এই নতুন দিনপঞ্জির বিরোধিতা করেছিল। ইথিওপিয়াও ছিল সেইরকম এক দেশ। তার মানে এই নয় যে, এই দেশটির ক্যালেন্ডার জুলিয়ান অনুসারী। না। বরং ইথিওপিয়ার অর্থোডক্স টিওয়াহেদো চার্চের দিনপঞ্জির সঙ্গেই এদের সরকারি ক্যালেন্ডারের কিছু কিছু মিল পাওয়া যায়। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: বয়ে যেতে যেতেই জমে গেল জল! 'আজগুবি' বলে উল্লেখ করছেন একাংশ