ওয়েব ডেস্ক চোখ নেই। মুখের আকারও সুস্পষ্ট নয়। তবে মোটা চামড়ার শক্ত চোয়াল থেকে বেরিয়ে আসা  ধারালো করাতের মতো দাঁত প্রকাশ করছে কতখানি সে হিংস্র!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাণীটিকে দানব আকৃতি বললে ভুল হবে না। দেহের শেষাংশে হাল্কা কাঁটা বিশেষ লেজ। মোটা, পুরু চামড়া। হিংস্র মুখ। গালভেসস্টোন থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরে টেক্সাসের সৈকত থেকে উদ্ধার হয় এই সামুদ্রিক প্রাণীটি।


'আর্থ টাচ নিউজ' নামে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রাণী বিশেষজ্ঞ তেঘা জানিয়েছেন, এটি আসলে স্নেক ইল অথবা এপ্লাটফিস চোলিওডাস প্রজাতির প্রাণী। সহজভাবে বলতে গেলে, সর্পাকৃতি পাঁকাল মাছের মতন। সমুদ্রের ১০০-৩০০ ফুট তলায় এদের বসবাস। সমুদ্রের সব ধরনের ছোট মাছই তাদের অন্যতম খাদ্য।


প্রীতি দেশাই নামে ন্যাশানাল অডবন সোসাইটির এক আধিকারিক টুইটারে এই ভয়াল প্রাণীটির ছবি পোস্ট করেন। তারপরই মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া এই প্রাণীর ছবি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দুনিয়ায়। রাতের ঘুম কেড়ে নেয় বিজ্ঞানীদের।


 



হঠাত্ এমন বিরল প্রাণীর খোঁজ মেলায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে প্রাণী বিজ্ঞানমহলে। এই প্রাণীর অস্তিত্ব খোঁজ মেলায়, প্রাণী জগতের বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। তবে  হারিকেন হার্ভের সৌজন্যে এই প্রাণীর দর্শন পেয়ে বিশ্বও বিস্মিত। তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অনেকে বলছেন এটি এক ধরনের মাছ, কেউ বা বলছেন হাঙরের চেয়ে হিংস্র এই প্রাণী। হারিকেন হার্ভের ফলে সমু্দ্র যখন উথাল পাতাল হয়েছিল, তখনই হয়তো ঝড়ের দাপটে তটে আছড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এই প্রাণীটি, বলে জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা।