Durga Puja 2022: আল্পসের ধার ঘেঁষে বেজে উঠছে আগমনীর সুর...
Durga Puja 2022 : যারা দিনের পর দিন দেশের বাইরে থাকেন, তাঁদের কথা একবার ভাবুন! পুজো পুজো গন্ধ পেলেও তার স্বাদ নেওয়ার উপায় নেই। তাই পুজোয় তাঁরা মন খারাপ না করে, সেখানেই নিজের মতো করে শুরু করে দিয়েছেন `দুর্গা পুজো`। একদম বাঙালিদের মতো করেই। দুর্গা প্রতিমা গড়ে কুমোরটুলির শিল্পীই। অতিমারীও দমিয়ে রাখতে পারেনি পুজোর স্পিরিট। এমনকি পুজোর কটা দিন এলাহি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য : মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি। এ এক অদ্ভুত অনুভুতি। দু’দিন বাড়ির বাইরে গেলেই মনে হয়, কখন বাড়ি যাব! তাহলে যারা দিনের পর দিন দেশের বাইরে থাকেন, তাঁদের কথা একবার ভাবুন! বিশেষ করে, দুর্গা পুজোয় সেই সকল বাঙালিদের কথা। পুজো পুজো গন্ধ পেলেও তার স্বাদ নেওয়ার উপায় নেই। তবে, বাঙালিরা এখন বিদেশের মাটিতেও উৎসবের ঘাঁটি গেঁড়ে ফেলেছেন। আজ স্বাক্ষী হব সেরকমই এক প্রবাসী দূর্গা পুজোর। করোনার সময়ও এই পুজো থেমে থাকেনি। ভিয়েনা দুর্গা পুজো সমিতির পুজো, ইউরোপের বৃহত্তম পুজোগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
সিম্ফন, রেড বুল। আল্পস বলতেই যদি এই দেশটার নাম মনে পড়ে, তাহলে ‘Wiener Wiesen’ ফেস্ট বলতে শুধুই দুর্গাপুজোর কথা মাথায় আসা উচিত। ভিয়েনা এবং কুমোরটুলির নামী শিল্পী কৌশিক ঘোষের তৈরি সাড়ে সাত ফুটের ফাইবার গ্লাসের দুর্গা প্রতিমা। সেন্ট্রাল ইউরোপের সবচয়ে বড় এবং পুরনো পুজো। ভিয়েনার হিন্দু মন্দিরে এই পুজোটি করা হয়। গড়িয়া রায় বাড়ির আদলে গড়া হয়েছে প্রতিমার সাজ, চোখ এবং রং। ২০০০ সালে বহু প্রতিকূলতার মাঝে শুরু হয় ভিয়েনার পুজো। এখানেও পুজো চলে পাঁচদিন ধরে। অতিমারী দমিয়ে রাখতে পারেনি পুজোর স্পিরিট। সবরকম কোভিড বিধি মেনেই পুজো হয় স্বাভাবিক ছন্দে। এইবারও কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করেই সব আয়োজন করা হয়েছে। এই পুজোর সঙ্গে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা তো আসেনই, আসেন ইউনাইটেড নেশনের মত সংস্থার লোকজনও। স্থানীয় বাঙালিদের সঙ্গে পুজোর এই কদিন জার্মানি, স্লোভাকিয়া, সোভেনিয়া, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিকের মত জায়গা থেকেও নানান লোকজন পুজোতে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2022 : অমরত্বের প্রত্যাশা না-থাক, অমরনাথের জাদুর আছে!
পুজোর কটা দিন এলাহি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে আর সঙ্গেই চলে সমাজসেবা। পুজোর কটাদিন রিফিউজি মানুষ এবং অনেক অভিবাসীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। শরতের এই কয়েকটা দিন প্রায় দেড়শ লোকের পুজোতে গমগম করে মন্দির। গত বছর বিশেষ কারণে অবশ্য একজনের বাড়িতেই পুজো হয়েছিল। এই বছর আবার সবাই মিলে হইহই করে পুজোর প্রস্তুতি নিয়েছে। ভাইরাস, বিদেশের মাটি যতই জীবনকে বেঁধে ফেলুক, বাঙালির 'মন বান্ধিবি কেমনে'?