Imran Khan: `একেই বলে স্বাধীন দেশ`, জয়শঙ্করের বক্তব্য টেনে ভারতের প্রশংসা ইমরানের মুখে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে পাকিস্তান। এনিয়ে দেশের বিদেশমন্ত্রককে বেঁধেন ইমরান। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার ব্যাপারে আমাদের কথা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে সেই তেল কেনা বন্ধ করে দেয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের প্রশংসা ইমরান খানের মুখে। সেই ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। গত সপ্তাহে লাহোরে দলের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশের নীতির কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে পাক বিদেশ মন্ত্রকের পদক্ষেপের সমালোচনায় মুখর হন। সেখানেই তিনি টেনে আনেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কথা। প্রসঙ্গত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ার তেল না কেনার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সেই রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছিল ভারত। এনিয়ে সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া জয়শঙ্করের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সভায় দেখান ইমরান খান। সেখানে জয়শঙ্করকে বলতে শোনা গিয়েছে, রাশিয়া থেকে তেল কিনলেই যত সমস্যা? গোটা ইয়োরোপ সেখান থেকে গ্যাস কিনছে তাতে কোনও সমস্য়া হয় না? কারও এমন নির্দেশ মানতে রাজি নয় ভারত। ওই ক্লিপ দেখিয়ে ইমরান খান মন্তব্য করেন, 'এই হল স্বাধীন দেশ'।
আরও পড়ুন-ইডি-সিবিআইকে টাকা পয়সার সব তথ্য দিয়েছেন কুণাল, চাঞ্চল্যকর দাবি সৌমিত্রর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে পাকিস্তান। এনিয়ে দেশের বিদেশমন্ত্রককে বেঁধেন ইমরান। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার ব্যাপারে আমাদের কথা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে সেই তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। তার ফলেই দেশে তেলের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। নাভিশ্বাস ওঠে আমজনতার। এইরকম দাসত্বের বিরোধী আমি। একইসঙ্গে স্বাধীন হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত যদি তার দেশের জনগণের স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে তাহলে আমাদের সরকার কেন নয়?
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি ও চিন-রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যাতা ইমরান খানকে বিপাকে ফেলেছিল। চিনের সঙ্গে মিলে দেশে একাধিক প্রকল্প হলেও মার্কিন সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দেশের ঋণ এখন আকাশ ছুঁয়েছিল। দেশের বিরোধী দল তো বটেই তাঁর দলের সাংসদরাও তাঁর পাশ থেকে সরে যান। শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় ইমারান খানকে। গদিতে বলেন শাহবাজ শরিফ। ক্ষমতায় এসেই তিনি বুঝতে পারেন কোথায় দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতি। কখনও আমদানি কম করে, কখনও জ্বালানী ব্যবহার কম করে তিনি কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।