Saumitra on Kunal: ইডি-সিবিআইকে টাকা পয়সার সব তথ্য দিয়েছেন কুণাল, চাঞ্চল্যকর দাবি সৌমিত্রর
তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারে আজ সরব হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের বলেন, শুদ্ধকরণ শুরু হয়েছে। এসব চলবে
মৃত্যুঞ্জয় দাস: পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল দুটি পৃথক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলে যাওয়ার পর মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক চোখা চোখা মন্তব্য করছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার স্বাধীনতা দিবসে কুণাল ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করতে এসে সৌমিত্র খাঁ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। বিভিন্ন দুর্নীতিতে যারা জড়িত তারা টাকাপয়সা কোথায় রেখেছেন সেই সংক্রান্ত যা তথ্য দেওয়ার তা ইডি-সিবিআইকে পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কারণ উনি যখন জেলে ছিলেন তখন তৃণমূলের নেতারা সেলিব্রেশন করেছিলেন। তাই এবার কারা কখন জেলে যাবেন তার লিস্ট কুণালবাবুর কাছে রয়েছে। কুণাল ছাড়াও আরও অনেকে রেয়েছেন যারা ডানহাত বাঁহাত করে খবর পৌঁছে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-আসানসোলে পতাকা তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
এদিকে, বিজেপি সাংসদের ওই মন্তব্যের জন্য তাঁকে জোকার বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার তিনি বলেন, সৌমিত্র খাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়া আর সার্কাসের জোকারকে সিরিয়াসলি নেওয়া দুটো একই ব্যাপার। আমি এসব কথার কোনও উত্তর দিতে চাই না। সৌমিত্র খাঁ একটা নিপাট বিনোদন। ওঁদের কথা শুনলে মনে হয় বিজেপিটা একটা আস্ত অপদার্থ। সবটাই তাদের এ দল থেকে এনে করতে হয়, ওদল থেকে এনে করতে হয়। রাজনীতির ক্লাসে যারা ওয়ান বা টুতে পড়েন তারা এইসব বলেন। ওঁনার স্ত্রী দক্ষ। তাঁর জন্য উনি জিতলেন। যে লক্ষ্মী রাখতে পারে না ঘরে সে লক্ষ্মীছাড়া।
উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে আলিপুর জেলে। তাঁর গ্রেফতারের পরপরই গোরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দুটি গ্রেফতার বেশ বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে অনুব্রতর গ্রেফতারের পর রাস্তায় নেমে পড়েছে বিজেপি ও সিপিএম। এর পাল্টা হিসেবে প্রতিবাদ সভায় শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারে আজ সরব হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের বলেন, শুদ্ধকরণ শুরু হয়েছে। এসব চলবে। ওঁদের নেতারা এখন বলছেন মারবেন। মনে রাখবেন, খালি পায়ে জুতো না পরে, জামা কাপড় ছাড়াই দৌড়তে হতে পারে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হবে। মানুষ ক্ষুব্ধ। কেষ্টকে রাস্তায় যেতে দেখে মানুষ কীভাবে স্বাগত জানিয়েছে তা ওদের মনে রাখা দরকার। মাত্র দুটো স্ট্রোক হয়েছে। প্রথম স্ট্রোক পার্থ, দ্বিতীয় স্ট্রোক কেষ্ট। তৃতীয় স্ট্রোক হলে দল কোমায় চলে যাবে।