নিজস্ব প্রতিবেদন— ফলের রাজা আম। তাই তেমনই তার দাম! চলতি বছরে আমফান আম চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। অকালে ঝড়ে গিয়েছে আম। চাষীদের মাথায় হাত। গরম পড়তে শুরু করেছে। সামনেই জামাইষষ্ঠী। এই সময় তো আম, কাঁঠালের গন্ধে চারপাশ ম ম করার কথা! কিন্তু এই বছর যেন সবই আলাদা। আমের গন্ধও নেই। জামাইষষ্ঠীর কেনাকাটাও প্রায় নেই বললেই চলে। করোনা আর আমফানের জোড়া থাবায় মানুষের জেরবার অবস্থা। হরেকরকম আম মেলে আমাদের দেশে। জানেন কি, আম খাওয়ার দিকেও ভারতীয়রাই সব থেকে এগিয়ে! তবে বিশ্বের সব থেকে দামি আম কিন্তু ভারতে পাওয়া যায় না। সেই আম এক কেজি কিনতে গিয়ে অনেক ধনী ব্যক্তিও ঢোঁক গেলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাইও নো তামাগো। যার মানে Egg of the sun. এই প্রজাতির আম বিশ্বে সব থেকে দামি। এটির চাষ হয় জাপানের মায়াজাকি অঞ্চলে। বিক্রি হয় অবশ্য গোটা জাপানজুড়ে। প্রতি বছর প্রথম ফলন করা আম নিলামে তোলা হয়। আর সেই আম বিক্রি আকাশছোঁয়া দামে। তবে এই আমের ফলন আর পাঁচটা প্রজাতির আমের মতো হয় না। অর্ডারের উপর নির্ভর করে এই আমের ফলন। এই প্রজাতির আম অর্ধেক লাল, অর্ধেক হলুদ। জাপানে এই প্রজাতির আমের ফলন হয় গরম ও শীতের মাঝে। আর সেই জন্যই এই আমের দাম এমন চড়া হয়। ২০১৭ সালে এই প্রজাতির দুটি আমের নিলামে দাম উঠেছিল ৩৬০০ ডলার। অর্থাত্, প্রায় দুলাখ ৭২ হাজার টাকা। সেবার প্রতিটি আমের ওজন ছিল ৩৫০ গ্রাম। অর্থাত্ মাত্র ৭০০ গ্রাম আমের দাম দুলাখ ৭২ হাজার টাকা।


আরও পড়ুন— ভারত মহাসাগরের বিশাল টেকটনিক প্লেট ভেঙে দু'টুকরো, ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা


আপনি হয়তো ভাবছেন কী এমন আছে যে এই আমের এমন অস্বাভাবিক দাম! এই আমের চাষ করতে চাষীকে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। প্রতিটি আম গাছে থাকাকালীনই ছোট জালে জড়িয়ে রাখা হয়। তার পর আমগুলিকে নির্দিষ্ট পজিশন—এ রাখা হয়। এতে করে সূর্যের আলো আমের একটি নির্দিষ্ট অংশে পড়ে। তা ছাড়া আমগুলিকে গাছ থেকে মাটিতে পড়তে দেওয়া হয় না। তারও ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে আমের এক পাশে রুবি রেড রং ধরানো হয়। আর স্বাদের কথা বলাবাহুল্য। যেমন দাম তেমনই তার স্বাদ ও গন্ধ।