`চিকিৎসকরা আমার মৃত্যু ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন`, অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
তবে চিকিৎসকরা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতি লড়াইয়ের জন্যই `স্তালিনের মৃত্যুকালীন` অবস্থার মতো ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকে কাত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিলেন। এমনই কথা শোনালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সারা বিশ্বের কাছেই বরিস জনসন একজন নামজাদা ব্যক্তি। তাই তাঁর শারীরিক অবনতি হলে কঠোর পরিস্থিতি আসবে, এটাই স্বাভাবিক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলেন চিকিৎসকরা। এমনটাই জানিয়েছেন বরিস। তিনি বলেছেন, "সেটা কঠিন সময় ছিল, আমি অস্বীকার করছি না। তবে চিকিৎসকরা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতি লড়াইয়ের জন্যই 'স্তালিনের মৃত্যুকালীন' অবস্থার মতো ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।"
এক সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকার পর ৫ এপ্রিল তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাঁকে তিনদিন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় ও ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ১২ এপ্রিল করোনা মোকাবিলায় জয়ী হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন:'কিমকে সুস্থ দেখে দারুণ খুশি আমি', স্বস্তি পেয়ে টুইট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরতিনি বলেছেন,"আমার এক মুহুর্তের জন্যও মনে হয়নি আমি মরে যাব।" কিন্তু চিকিৎসকরা তৈরি ছিলেন। তাঁকে লিটারের পর লিটার অক্সিজেন দিতে হয়েছিল, কিন্তু সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েই সুখবর পান বরিস। তাঁর স্ত্রী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে বারবার তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন তাঁদের, যাঁরা তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন। তাই দুই চিকিৎসক নিক প্রাইস ও নিক হার্টের নামেই নিজের সন্তানের নাম দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সোশাল মিডিয়ায় নিজের ছেলের নাম পোস্ট করে লিখেছিলেন, "হার্ট অ্যান্ড প্রাইস সেভড বরিস।"
তবে তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বরিস জানিয়েছেন চিকিৎসকরা যে অসাধারণ কাজ করেছেন, সেখান থেকে তিনি লড়াইয়ের উৎসাহ পেয়েছেন। তিনি তাঁর দেশকে করোনা লড়াইয়ে জয়ী দেখতে চান। ইতিমধ্যে তিনি ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা ভেবেছেন, যার ম্যাপ তিনি প্রকাশ করবেন।