জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্দোনেশিয়ার গ্রামাঞ্চলের গরীব নারীদের অস্থায়ীভাবে বিয়ে করে আমোদ-ফুর্তি করছেন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পর্যটকরা। সেখানকার একাধিক গ্রামের নারী, ঘুরতে আসা পুরুষ পর্যটকদের সঙ্গে অস্থায়ী স্ত্রী হিসেবে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে বিয়ে করছেন । এভাবেই তারা তাদের জীবিকা বেছে নিয়েছেন এবং তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করছেন। অস্থায়ী বিবাহ ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। গ্রামের অনেক নারী এই প্রথাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কারণ তাদের কাছে অর্থনৈতিক যোগান খুবই কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Malaysia Prime Minister | Bangladesh: ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সুখবর বাংলাদেশে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা...


যতদিন এই পর্যটকেরা ইন্দোনেশিয়ায় থাকেন ততদিন ‘অস্থায়ী বিয়ে’ করা নারীকে নিজের স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেন। এরপর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ডিভোর্স দিয়ে যান।সারিফ হিদায়াতুল্লাহতে ইসলামিক স্টেট ইউনিভার্সিটির ইসলামিক ফ্যামিলি আইন বিভাগের অধ্যাপক ইয়ায়ান সোপিয়ান বলেন 'আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি যে এই প্রথার বিস্তার ঘটছে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: Strongest Solar Flare: ধেয়ে আসছে ভয়ংকর এক সৌরঝড়! তছনছ মহাবিশ্বে, আমাদের পৃথিবীর কী হবে?


চাহায়া (নাম পরিবর্তিত)নামে একটি মেয়ে অস্থায়ী বিবাহের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সল্পমেয়াদী বিবাহ করেন এবং তখন তার প্রথম স্বামী ছিলেন একজন ৫০ বছরের সৌদি পর্যটক আর সেই প্রথম বিয়ের বিনিময়ে সে পায় ৮৫০ ডলার যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৭২ হাজার টাকা। এর পরেই তিনি ১৫ বার অস্থায়ী বিয়ে করেছেন। ১৩ বছর বয়সে, চাহায়ার প্রথম বিয়ে হয় তারই এক সহপাঠীর সঙ্গে, তবে তার পরিবার জানতে পারেন যে একজন পর্যটক সল্পমেয়াদী বিবাহের জন্য মেয়ে খুঁজছে। তারা তখন চাহায়াকে এই অস্থায়ী বিবাহে জড়িত হতে বাধ্য করে। এরই পরে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দেয় এবং তাকে তার মেয়ে নিয়ে একাই জীবনের লড়াই শুরু করতে হয়। কোনও উপায় না দেখে, তিনি এই প্রথাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। 


আরও পড়ুন: Bangladesh: বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের 'বলি' BGB-র জওয়ানও, আহত ১০৩!


তার অভিজ্ঞতা এখানেই শেষ হয়নি তিনি আরও বলেন যে তার একজন অস্থায়ী স্বামী তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যান। তিনি চাহায়াকে ২০০০ ডলারের (এক লাখ আটষট্টি হাজার টাকা) প্রস্তাব দেন। কিন্তু সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর চাহায়ার সঙ্গে সে দাসীর মতো ব্যবহার শুরু করে, তাকে ঘরের কাজ করানো, খারাপ আচরণও করা হত এবং কোনও পারিশ্রমিকই দেওয়া হত না। চাহায়া সেখান থেকে একাধিক বার পালানোর চেষ্টা করেন এমনকি তিনি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত, তিনি বুদি প্রিয়ানার সাথে যোগাযোগ করেন, যিনি তাকে প্রথমবার একজন দালালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন যখন চাহায়া প্রথম এই পেশায় আসে। বুদি প্রিয়ানা সৌদি দূতাবাস ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাহায়ার সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানায়। শেষ পর্যন্ত, চাহায়া দেশে ফিরে আসেন।


আরও পড়ুন: Dhaka Ramkrishna Mission: বদলের বাংলাদেশে অশান্তির জের? রামকৃষ্ণ মিশনে বন্ধ কুমারী পুজো...


ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী অস্থায়ী বিবাহ এবং যৌনকর্ম বেআইনি।  যার ফলে সাময়িক বিবাহ একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, যে সাময়িক বিবাহ সব সময় যৌন সম্পর্কের জন্য হয় না। অনেক সময় পর্যটকরা তাদের সাময়িক স্ত্রীর কাছ থেকে গৃহকর্মের কাজও আশা করেন, যেমন চাহায়া তার প্রথম বিবাহের সময় করেছিলেন।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)