জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কঠোর ইসলামিক আইনের দেশ কাতার। ফিফা বিশ্বকাপের (Fifa World Cup) শুরু থেকেই বিভিন্ন কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে তারা। বিশ্বকাপের একটি বড় অংশ ইতমধ্যেই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে কাতার তার কিছু নাগরিকের সঙ্গে নিষ্ঠুরতার ঘটনার কারণে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। এরপর হঠাৎ করেই লাইমলাইটে এসেছেন এখানকার এক রাজকন্যাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি


আসলে যে কারণে রাজকন্যা ঘর ছেড়েছেন, সেই একই কারণে এদেশের বহু মানুষও দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। রাজকন্যার সম্পর্কে আলোচনার কারণ এই রাজকুমারীও তার দেশের একটি আইনের কারণে তার পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: আফ্রিকার ক্ষুধার্ত সিংহ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাতার, ঢেউ জাগবে কি মরক্কোর সৈকতে?


পরির মতো রাজকন্যার ভয়ানক গল্প


গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজকুমারী কাতারের শাসক পরিবার আল থানির সদস্য। কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। অন্যদিকে রাজকন্যা নিজেই সমকামী। এই অবস্থায় রূপান্তরকামী হওয়ার কারণে তাঁকেও কড়া শাস্তি দেওয়া হতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা ছিল। এই কারণে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। রাজকুমারীর দেশ ছাড়ার ঘটনা নিয়ে ফাঁস হওয়া নথির ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের সানডে টাইমস।


আমি ভাইদের বিয়ে করতে চাই না: রাজকুমারী


তিনি যখন ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর শৈশব কঠিন ছিল। তিনি বলেন, 'আমি নারী হয়ে জন্মেছি কিন্তু বড় হয়ে নিজের শরীরে পরিবর্তন দেখেছি। এর পর আমি চাই না যে আমার কোনও কাজিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হোক। কাতারে সমকামিতার জন্য ৩ বছরের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তাই নিরাপত্তার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি’।


আরও পড়ুন: New Zealand: এবার চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে ধূমপান, নতুন বছরে দোকানে আর মিলবেই না সিগারেট...


ব্রিটেন সরকারের কাছে থাকা এই রাজকুমারীর নথি অনুসারে, তিনি ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে তার পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এই সময় এক বন্ধুকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। বর্তমানে যখন বহু ক্রীড়াপ্রেমী কাতারে এসেছেন, তখন এদেশের কঠোর আইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই সময় যখন সমকামিতা আইনের কথা বলা হয়েছিল, তখন কাতারের রাজকুমারীর গল্প আবার ভাইরাল হয়েছিল।