ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তান সেনেটের ডেপুটি চেয়ারম্যান মৌলানা হায়দারির ভিসা বাতিল করে দিল আমেরিকা। আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল মৌলানা হায়দারির। আর এই ঘটনায় চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পাক সেনেটের চেয়ারম্যান রাজা রব্বানি এই কনফারেন্সকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনি জানিয়েছেন, ভিসা বাতিলের কারণ যদি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ না করে, সেক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে পাক মুলুক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, বর্তমান বছরের ২০ শে জানুয়ারি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পরই এক্সিকিউটিভ অর্ডারের দ্বারা সাতটি দেশের আভিবাসীদের আমেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই 'অর্ডারের' বিরুদ্ধে মুখ খোলে গোটা দুনিয়া এবং মার্কিন অ্যাপিল আদালতও এমন 'বিভেদমূলক পদক্ষেপ'-এর বিরুদ্ধেই মত দেয়। আর তা নিয়ে এখনও সরগরম মার্কিন মুলুক সহ গোটা বিশ্ব।


আরও পড়ুন- এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনি যুদ্ধে প্রায় তাবড় মার্কিন কর্পোরেট দুনিয়া


কিন্তু, আজকের এই ঘটনা আন্তর্জাতীক কূটনৈতিক মহলকে ভাবাচ্ছে অন্য কারণে। যে সাতটি দেশের নাম ছিল ট্রাম্পের অর্ডারে, তারমধ্যে পাকিস্তানের নাম ছিল না। কিন্তু কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল যে, এই তালিকায় নওয়াজ শরিফের দেশকেও তালিকাভূক্ত করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে, এবিষয়ে কোনও সরকারি স্বীকৃতি ছিল না। ফলে, আচমকা খোদ পাক সেনেটের ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভিসা বাতিল করে দেওয়ায় হতবাক ওয়াকিবহাল মহল। তবে পাকিস্তান এবিষয়ে 'গরম প্রতিক্রিয়া' দিলেও, এখনও মুখ খোলেনি মার্কিন প্রশাসন।


আরও পড়ুন-  আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ট্রাম্প