আমি অনেক কিছুর জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে পারি, মত ডোনাল্ড ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্যের পর টুইটারে তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে 'হাউডি মোদী'-তে পাশাপাশি থাকার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বসে কাশ্মীর প্রসঙ্গে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এতেই এক পাক সাংবাদিক ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার কথা বলেন। ওই সাংবাদিকের কথার প্রেক্ষিতে আক্ষেপের সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নিরপেক্ষে ভাবে বিচার করলে, আমি অনেক কিছুর জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে পারি। কিন্তু সেটাই তো হয় না।”
সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় এই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথাও তোলেন। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়াক মাসের মধ্যেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন বারাক ওবামা। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পরই ওবামাকে নোবেল দেওয়া হয়। ও নিজেও ভাবতে পারেনি এটা পাবে। তোমরা জানো, এই একটা ব্যপারেই আমি ওর সঙ্গে একমত হতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান রাজী হলে কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতেই পারি, ফের জানালেন ট্রাম্প
ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, উত্তর কোরিয়াকে পরমানু অস্ত্র ব্যবহারে বাধা দেওয়া, বিশ্বে শান্তি আর সুস্থ পরিবেশ বজার রাখার ক্ষেত্রে বারাক ওবামার থেকে তাঁর অবদান অনেক বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্যের পর টুইটারে তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। কেউ লিখেছেন, ‘শুধু টুইট করার জন্য নোবেল পাওয়া যায় না।’ কেউ আবার বিদ্রুপ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘অপদার্থ হওয়ার জন্য কোনও নোবেল প্রাইজ নেই?’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের বিষয়ে অনেকেরই মত, নিজের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশে কোনও সমস্যা নেই, তবে একজন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের পূর্বসূরি তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্তন প্রেসিডেন্টের তুলনা বা সমালোচনা করাটা একেবারেই উচিত হয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্পের।