নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেলের পরিণয়ের খবরে যখন আত্মীয়তার দিকে এগোচ্ছে ব্রিটিশ-মার্কিন বন্ধুত্ব তখনই এল ধাক্কা। টুইটারে রীতিমতো বাকযুদ্ধে জড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মে-কে ট্রাম্পের 'পরামর্শ' আমার ব্যাপারে নাক গলাবেন না। নিজের কাজটা মন দিয়ে করুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ডোনাল্ট ট্রাম্পের কয়েকটি রিটুইট নিয়ে। ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী সংগঠনের এক নেত্রীর করা একাধিক জাতিবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করেন ট্রাম্প। মুসলিমবিদ্বেষী ওই সংগঠনের টুইট রিটুইট করায় ট্রাম্পকে সমালোচনা করেন লেবার পার্টির এক নেতা।


আরও পড়ুন- নিশুতি রাতে তরুণীকে উদ্ধার করেই নিমেষে হাওয়া ব্যক্তি, ভিডিও নিয়ে তোলপাড়



লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কারবাইন বলেন, 'ট্রাম্প যা করেছেন তা জঘন্য, ভয়ঙ্কর ও আমাদের দেশের পক্ষে ক্ষতিকর।' এতেই ক্ষেপে ওঠেন ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে টুইটে তিনি লেখেন, আমাকে নিয়ে বেশি ভাববেন না। বরং ব্রিটিশ গণরাজ্যে যে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চলছে তার দিকে নজর দিন। আমরা ভাল আছি। ট্রাম্পের এই ট্যুইটের পর শোরগোল পড়ে বিশ্বজুড়ে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক বরাবরই মধুর। তবে কি সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে মতবিরোধের জেরে চরমপন্থী ট্রাম্পের সঙ্গে নরমপন্থী লেবারদের বিরোধে ফাটল ধরবে সেই সম্পর্কে?


আরও পড়ুন- সীমান্তের ওপারে নব্য জেএমবি ঘাঁটিতে র‍্যাব হানায় মৃত ৩ জঙ্গি


ব্রিটেন ফার্স্ট নামে চরম দক্ষিণপন্থী একটি সংগঠনের ডেপুটি লিডার জেদা ফ্রানসেনের টুইট ঘিরে সমস্ত বিতর্কের সূত্রপাত। জাতিবিদ্বেষী হিংসার ওইসব ভিডিওর কোনওটায় দেখা যাচ্ছে মেরির মূর্তি ভাঙচুর করছে একদল বিক্ষোভকারী। কখনো দেখা যাচ্ছে এক ডাচ বালককে নিগ্রহ করছে একদল উন্মত্ত যুবক। এই ভিডিওগুলিই রিটুইট করেছিলেন ট্রাম্প।