ওয়েব ডেস্ক: কোনও অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। সাফ জানালেন তিউনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এসেবসি। আরব বসন্তের আসল সাফল্য একমাত্র যে দেশের মধ্যে সত্যিকারের বাসা বেঁধেছে বলে ভাবা হচ্ছিল গতকাল সেই দেশেই একটি মিউজিয়ামে বন্দুকবাজদের হামলায় প্রাণ হারালেন ২১ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার দুপুরে মিলিটারির পোশাকে হঠাত্ই মিউজিয়ামে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে বন্দুকবাজরা। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ২ বন্দুকবাজের।  


সাংবাদিক সম্মেলনে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ জানিয়েছেন ১৯ জন মৃতের মধ্যে ১৭ জন পর্যটক ও ২ জন তিউনিশিয়ার বাসিন্দা। বাস থেকে নেমে মিউজিয়ামে ঢোকার পথেই হত্যা করা হয় ৮ জন পর্যটককে। বাকি ১০ জনকে প্রথমে আটক করে, পরে হত্যা করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪০ জন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২ বন্দুকবাজের মৃত্যু হলেও আরেক বন্দুকবাজ পালিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। পর্যটকরা পোল্যান্ড, ইটালি, জার্মানি ও স্পেন থেকে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।


সারা বিশ্বে এই হামলা বিরোধী নিন্দার ঝড় উঠেছে। পার্লামেনেটের খুব কাছে তিউনেশিয়ার পৃথিবী বিখ্যাত ন্যাশনাল বারদো মিউজিয়ামে এই হত্যালীলা চলে।  


গত এক দশকের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার এই দেশে এই ধরণের মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠনই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার ধরণ দেখে অনুমান এই কাজ ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস বা আইসিস-এর অনুগামী কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীরই।