Turkey Earthquake: মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২০,০০০, আশঙ্কা প্রকাশ WHO-র
শীতের মাঝামাঝি তাপমাত্রা এবং তুষারঝড়ের মতো প্রতিকূল অবস্থা উদ্ধারকাজকে অতিরিক্ত কঠিন করে তুলেছে এবং আশ্রয় ছাড়া বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এই অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাসে ছড়িয়ে পরা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) সোমবারের বড় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৪০০০ হয়েছে। আগামিদিনে নিহতের সংখ্যা আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইউরোপের জন্য ডব্লিউএইচওর (WHO) সিনিয়র জরুরি কর্মকর্তা (senior emergency officer for Europe) ক্যাথরিন স্মলউড (Catherine Smallwood) জানিয়েছেন, ‘আরও ধসের সম্ভাবনা অব্যাহত রয়েছে তাই আমরা প্রাথমিক নিহতের সংখ্যায় আটগুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি’।
স্মলউড আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা সবসময় ভূমিকম্পের সঙ্গে একই জিনিস দেখতে পাই, দুর্ভাগ্যবশত, যা হল যে প্রাথমিক রিপোর্টে যারা মারা গেছে বা যারা আহত হয়েছে তাদের সংখ্যা পরবর্তী সপ্তাহে বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়’।
সিরিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে তুরস্কের শহর গাজিয়ানটেপের (Gaziantep) কাছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীরতায় সোমবার ভোর ০৪.১৭ মিনিটে (০১.১৭ GMT) ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর থেকে, মৃতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪,০০০। উদ্ধারকারীরা হাজার হাজার ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের খুঁজে বের করতে একটানা লড়াই করছে।
শীতের মাঝামাঝি তাপমাত্রা এবং তুষারঝড়ের মতো প্রতিকূল অবস্থা উদ্ধারকাজকে অতিরিক্ত কঠিন করে তুলেছে এবং আশ্রয় ছাড়া বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
স্মলউড জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য ব্যক্তির যারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে না তারা সম্মিলিত পরিবেশে মিলিত হবে এবং জড়ো হবে। এবং এটিও বিশেষ ঝুঁকি তৈরি করবে যদি তাদের জন্য উপযুক্ত গরমের ব্যবস্থা না করা হয়, আবার অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে’।
তিনি জানিয়েছেন এই অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাসে ছড়িয়ে পরা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Natasha Perianayagam: বিশ্বের উজ্জ্বলতম পড়ুয়ার তালিকায় শীর্ষে ভারতীয় বংশদ্ভুত নাতাশা
তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। সোমবারের কম্পন পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট (East Anatolian fault) বরাবর ঘটছে। উত্তর আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন (North Anatolian fault line) ভূমিকম্প থেকে সারা দেশে ১৯৯৯ সালে ১৭,০০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Turkey Earthquake: ফের কম্পন, নিহতের সংখ্যা ছুঁল ৪০০০; ভারতের পাঠানো ত্রাণ পৌঁছল তুরস্কে
ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা বিভাগের (Geological Survey of Denmark and Greenland) ভূমিকম্পবিদ টিন লারসেন (Tine Larsen) বলেছেন, সোমবারের কম্পন গ্রিনল্যান্ডের (Greenland) মতো দূরের দেশেও অনুভূত হয়েছিল।
তিনি বলেছিলেন যে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই, গ্রিনল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আফটারশকও বোঝা যায়।