জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খনিতে আগুন। পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার এক সোনার খনিতে আগুনে অন্তত ২৭ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পেরুর আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা ১’ নামের সোনার খনিটিতে গত শনিবার এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে পেরুর সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খনি ট্র্যাজেডিগুলির একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

 


 

পেরু পুলিস ও পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, খনির ভেতরের এক সুড়ঙ্গে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পাবলিক প্রসিকিউটর জিওভান্নি মাতোস এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, এ ঘটনায় খনির ভেতরে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় মেয়র জানান, বেশির ভাগ খনিশ্রমিক শ্বাসরোধ হয়ে ও পুড়ে মারা যেতে পারেন বলে তাঁর ধারণা।

 


 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত শ্রমিকেরা ভূপৃষ্ঠ থেকে অন্তত ১০০ মিটার নীচে খনির ভেতরে কাজ করছিলেন। এর আগে গত বছর ২০২২ সালে পেরুতে এ ধরনের খনি-দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনায় সেবার ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন। আসলে শুধু সোনা নয়, পেরুতে রয়েছে জিংক, রুপো, তামার খনি। পেরু লাতিন আমেরিকার জিংক, টিন, সীসা ও মলিবডিনামের অন্যতম উৎসস্থল। 

 

দুর্ঘটনাটি শনিবার ঘটলেও তার খবর কিন্তু সেদিনই প্রকাশ করেনি দেশটির সংশ্লিট কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য পুলিস সংগ্রহ করার পরই গতকাল, রবিবার খবরটি অফিশিয়ালি প্রকাশ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় খনিতে ঠিক কতজন শ্রমিক কাজ করছিলেন, সে সম্পর্কে কিন্তু এখনও নিশ্চিত ভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, বা সরকার তা দেওয়ার কোনও চেষ্টা করেনি।


দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রমিকদের শোকার্ত স্বজনেরা দ্রুত খনি-এলাকায় জড়ো হন। এঁদেরই একজন মার্সেলিনা আগুয়েরে। তিনি তাঁর স্বামীর খোঁজ করছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলে তাঁর আর্ত চিৎকার সকলের মনকেই ভারাক্রান্ত করে তুলেছিল।