Great Wall of China: চিনের প্রাচীরে গর্ত করছিলেন দু`জনে! কেন এই ভয়ংকর কাজ করতে চাইছিলেন তাঁরা?
Great Wall of China: বহুকাল আগে চিনকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে দীর্ঘ এই প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন চিনা সম্রাটরা। তবে, এটুকু জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তির চিন আক্রমণের কোনও সুদূরতম পরিকল্পনাও ছিল না! তাঁরা স্রেফ প্রাচীর খুঁড়ে নিজেদের জন্য রাস্তা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হঠাৎ করে চিনের প্রাচীর খোঁড়ার এই ভয়ংকর দুঃসাহসী প্রচেষ্টা কীসের? কী লাভ এতে? কিন্তু এত বিচার-বিবেচনার মধ্যে যায়নি দুই শ্রমিক। তাঁরা বেবাক ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে মহা চিনের এই মহাকায় দেওয়াল! ফল? যা হওয়ার তাই। সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের শানসি প্রদেশের ইউয়ু এলাকায়।
তবে, এটুকু অন্তত জানা গিয়েছে, ওই দুই শ্রমিক চিন আক্রমণের কোনও সুদূরতম পরিকল্পনাও করেননি! তাঁরা স্রেফ প্রাচীর খুঁড়ে নিজেদের জন্য রাস্তা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বহুকাল আগে চিনকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে দীর্ঘ এই প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন চিনা সম্রাটরা। চিনের এই মহাপ্রাচীর বিশ্বে অতি বিখ্যাত। কালে কালে সেই প্রাচীর অবশ্য অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে প্রাচীরে নতুন করে ক্ষতি করেছেন এই দুই ব্যক্তি।
অগস্ট মাসের ২৪ তারিখে শানসির ইউয়ু এলাকায় চিনের প্রাচীরের ওই ক্ষতি চোখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। তখনই খোঁজখবর চালিয়ে সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া যায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর। গ্রেফতার হওয়া দুজনের একজন ৩৮ বছর বয়সী পুরুষ, অন্যজন বছরপঞ্চান্নের মহিলা।
কেন তাঁরা এই কাণ্ড করতে গেলেন, তা তাঁদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল পুলিস। জবাবে তাঁরা জানান, তাঁরা নির্মাণশ্রমিক। কর্মস্থল প্রাচীরের কাছেই। তবে অনেক পথ ঘুরে তাঁদের সেখানে যেতে হয়। কর্মস্থল থেকে দূরত্ব কমাতে প্রাচীরে গর্ত খুঁড়ে রাস্তা তৈরি করছিলেন তাঁরা। চিনা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাচীরের যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামত করা কঠিন।
আরও পড়ুন: G20 Summit 2023 in Delhi: ভারতে আয়োজিত জি২০ বৈঠকে জিনপিং আসবেন না শুনে কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
প্রায় ১৩ হাজার মাইল (২০ হাজার কিলোমিটার) এলাকা জুড়ে রয়েছে এই মহা প্রাচীর। প্রাচীরের যে অংশে রাস্তা বানানোর জন্য খোঁড়া হয়েছে, তা তৈরি করা হয়েছিল মিং রাজার আমলে। ১৩৬৮ থেকে ১৬৪৪ সাল-- প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলেছিল ওই অংশের নির্মাণ। প্রাচীরটির নির্মাণে প্রথম হাত লাগানো হয় খ্রিস্টপূর্ব ২২০ শতকে। ১৯৮৭ সালে প্রাচীরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।