ওয়েব ডেস্ক : ধ্বংস নয়, টাইফুনেই সৃষ্টির বীজ। একটা ভয়ঙ্কর টাইফুনেই একটি দেশ এগিয়ে যাবে ৫০ বছর। এমনই অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলেছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। ঝড়ের তীব্র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন বানিয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। বিধ্বংসী টাইফুন। সৃষ্টিকে নিমেষে রসাতলে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। তীব্র অভিঘাতে আছড়ে পড়ে প্রলয় ঘটিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে পড়ছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি পপাত ধরণীতলে। ফুঁসে উঠছে সমুদ্র। গ্রাস করছে আস্ত গ্রাম বা শহরকে। সর্বত্রই ধ্বংসের ছবি।


নাহ্, সর্বত্রই ধ্বংসের ছবি নয়। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়েই লুকিয়ে রয়েছে সৃষ্টির বীজ। অবাক হচ্ছেন তো? এখন এটাই বাস্তব। নিশীথ সূর্যের দেশে ধ্বংসের আড়ালেই উঁকি মারছে সৃষ্টির আলো। জোরালো সে আলো। সবকিছু শেষ নয়, বরং ভীষণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। ঠিক যেন জাপানি রূপকথা।


ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই কাজে লাগিয়েছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। দেশটির এক ইঞ্জিনিয়ার এমন এক টারবাইন বানিয়েছেন, যা ঝড়ের তীব্র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহারযোগ্য শক্তি উত্পাদন করবে। তাঁর এই তত্ত্ব যদি ঠিক হয়, তবে একটি টাইফুনের আঘাতে জাপান এগিয়ে যাবে অর্ধশতাব্দী। অত্যন্ত টেকসই, এগবিটার আকৃতির এই ডিভাইস টাইফুনের জোরালো শক্তিকে শুধু আটকাবেই না, সেই সঙ্গে একে ব্যবহারযোগ্য শক্তিকে রূপান্তরিত করবে। শিমিজুর হিসাব অনুযায়ী,  এই টারবাইন একটি টাইফুন থেকে ৫০ বছর জাপানের শক্তি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে। ২০১১ সালে ফুকুশিমা দুর্যোগের প্রভাবে এখন জাপানে শক্তির অভাব। শিমিজু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে জাপানের সৌরশক্তির চেয়ে বেশি বায়ুশক্তি আছে। এটি কাজে লাগানো হচ্ছে না।


চলতি বছরে ইতিমধ্যে জাপানে ৬টি টাইফুন হয়েছে। এই হিসাবেই গ্রিন টেক প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জারি-র প্রতিষ্ঠাতা এই উদ্ভাবক জানিয়েছেন, জাপানের বায়ুশক্তিতে সুপারপাওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই টাইফুন টারবাইন দুটি ক্ষেত্রে প্রচলিত টারবাইন থেকে আলাদা। এটি সর্বতোমুখী আঘাতে কাজ করে, যার ফলে তা বায়ুর অপ্রতিরোধ্য গতির মুখেও টিকে থাকতে পারে এবং ঝড়ের সময় ব্লেডের গতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গতি সীমিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে।


শিমিজুর টারবাইন প্রচণ্ড ঝড়েও টিকে থাকতে পারে। চলতি বছরেই ওকিনাওয়ার কাছাকাছি এলাকায় একটি ফাংশনাল প্রোটোটাইপ স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ উচ্চ বায়ুচাপে ডিভাইসটি পরীক্ষা করা। তাই এখন অপেক্ষা একটি টাইফুনের।