ব্রিটিশ মুদ্রায় স্থান মহাত্মা গান্ধীর! ঋষির সুপারিশ গেল রয়্যাল মিন্টে
ব্রিটিশ মন্ত্রী রয়্যাল মিন্টকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁদের গভীর অবদানের কথা। রয়্যাল মিন্টের কাছে এর স্বীকৃতির আবেদনও করেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজও নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর শেখানো "রঘুপতী" গান মুখস্ত গাইতে পারেন অনেকে। সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে তাঁর শান্তির মন্ত্রের প্রভাব পড়েছিল অনেক জায়গায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণ বর্ণের মানুষের হয়ে আন্দোলনে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে সম্মান জানাতে নতুন কয়েনের প্রচলন করতে চলেছে একদা ভারতের শাসক ব্রিটিশরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অর্থ মন্ত্রী ঋষি সুনক রয়্যাল মিন্ট অ্যাডভাইসারি কমিটিকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। রয়্যাল মিন্ট অ্যাডভাইসারি কমিটিও (RMAC) এ বিষয় বিবেচনা করে দেখছে। একথাও জানিয়েছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। জীবনের অধিকাংশ সময় জপ করে গিয়েছেন শান্তির কথা। তাঁর জন্মদিন ২ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ।
আরও পড়ুন: ভারতের ভূখণ্ডকে নিজেদের ম্যাপে অন্তর্ভুক্তি করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হতে চলেছে নেপাল
সম্প্রতি মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল সারা বিশ্ব। সকলে উত্তাল হয়েছিল "আই ক্যান্ট ব্রেথ" স্লোগানে। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের অধিকারের দাবিতে সকলে একসঙ্গে বলে উঠেছিল, "আই এম জর্জ ফ্লয়েড।" তারপরই ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলি ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখেছে। উঠে এসেছে বর্ণ বিদ্বেষ, নির্যাতনের প্রতিবাদ স্বরূপ "জাতির জনকের" নাম। অনেক সংস্থা এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক এশিয়ান অ্যান্ড মাইনোরিটি এথনিক কমিউনিটির (BAME) পাশে। ব্রিটিশ মন্ত্রী রয়্যাল মিন্টকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁদের গভীর অবদানের কথা। রয়্যাল মিন্টের কাছে এর স্বীকৃতির আবেদনও করেছেন তিনি। এবার এই সংস্থাই ঠিক করবে কয়েনের নকশা ও থিম।