নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়াকে ভারতে আনার ক্ষেত্রে তৈরি হল ধোঁয়াশা। ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিনিস্টার্স ম্যাজিস্ট্রেস কোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই ধোঁয়াশা। শুধু মালিয়াই নয়, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জন ভারতীয়কে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আনার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মুহূর্তে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ব্রান্ডন লিউইস ভারত সফরে রয়েছেন। সোমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তাঁদের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ১৩ জনকে ভারতে ফেরানোর বিষয়েও কথা হয় তাঁদের মধ্যে।


২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে বুকি সঞ্জীব কুমার চাওলার বিরুদ্ধে। ভারতে গ্রেফতারি এড়াতে সঞ্জীব চাওলা পালিয়ে যায় ইংল্যান্ডে। তার মতই সেখানে রয়েছেন আইপিএল কেলেঙ্কারিতে জড়িত ললিত মোদী। তাদের প্রত্যেককেই ভারতে আনার জন্য ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত।


আরও পড়ুন- ‘আজাদ কাশ্মীর’ বাস্তবে সম্ভব নয়, সাফ জানিয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী


সম্প্রতি স্কটিশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যালান মিশেলের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ওয়েস্ট মিনিস্টার্স ম্যাজিস্ট্রেস কোর্টে এই বিষয়ে শুরু হয় শুনানি। সেখানে বিচারক রেবেকা ক্রেন বলেন, ''রিপোর্টে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, ভারতে তিহার-সহ বেশ কয়েকটি জেলের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। সেখানে বন্দিদের রাখার কোনও পরিবেশই নেই। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলেই উপচে পড়ছে অপরাধীর সংখ্যা। ফলে সেখানে সঞ্জীব কুমার চাওলা বা ললিত মোদীদের পাঠালে, তাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে।''


ফলে মনে করা হচ্ছে, অ্যালান মিশেলের সেই রিপোর্টের ওপর দাঁড়িয়ে আদালতের রায়ে এখন বিজয় মালিয়াকে ভারতে আনার ক্ষেত্রে আরও একবার তৈরি হবে ধোঁয়াশা। আগামী দু'সপ্তাহ পরই মালিয়ার বিষয়টি এই ওয়েস্ট মিনিস্টার্স ম্যাজিস্ট্রেস্ কোর্টে উঠতে চলেছে।


ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতে মামলা রুজু করা হয়েছে লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে। গ্রেফতারি এড়াতে ২০১৬-র মার্চ থেকে ইংল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। গত মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য সেখানেই গ্রেফতার হয়েও সহজেই জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছেন মালিয়া। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ সরকারের কাছে মালিয়াকে ভারতে পাঠানোর জন্য আবেদন জানানো হয়।