UK PM: ব্রিটেনের মতো ভারতেও সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী চান মেহবুবা! পাল্টা দিল বিজেপি
লিস ট্রাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কে হবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। এনিয়ে খুশির হাওয়া ভারতের বিভিন্ন মহলে। তবে এনিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির একটি ট্য়ুইটে শোরগোল উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই নিশানা করেছেন মেহবুবাকে। কী লিখেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? মেহবুবা লিখেছেন, ব্রিটেনে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। এটি ভারতীয়ের গর্বের বিষয়। একইসঙ্গে এই খবর আমাদের মনে করিয়ে দেয় ব্রিটেন যেখানে একজন সংখ্যালঘুকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে সেখানে আমরা এখনও এনআরসি,সিএএ-র মতো আইনে আটকে রয়েছি। ওই ট্যুইটকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেস নেতা মেহবুবার মতো প্রায় একই সুরে চিদম্বরম কথা বললেও মেহবুবাকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ।
আরও পড়ুন-করোনা আক্রান্ত তারকা অজি স্পিনার! বিরাট ধাক্কা অজি শিবিরে
মেহবুবার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম লিখেছেন, প্রথমে কমলা হ্যারিস। এবার ঋষি সুনক। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ একজন সংখ্যালঘুদের কাছে টেনে নিয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ পদে তারা বসিয়েছে একজন সংখ্যালঘুকে। এর থেকে ভারতের ও এদেশে যারা সারাক্ষণ সংখ্যাগুরুদের পক্ষে কথা বলেন তাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
দুই বিরোধী নেতার ওই মন্তব্যে পাল্টা সরব হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের শেষ উপ মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দর গুপ্তা। সংবাদমাধ্য়মে তিনি বলেন, বলেন, মুফতির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। মেহবুবাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই সব জঙ্গি কেন একটি সম্প্রদায়েরই হয়? এর উত্তর কি দেবেন মেহবুবা? বিজেপি ন্যায় বিচারে বিশ্বাস করে, কাউকে তোষামদে নেই।
অন্যদিকে, ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মেহবুবা মুফতির ট্যুইট দেখলাম। মেহবুবাজি, জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কোনও সংখ্যাগুরুকে মেনে নেবেন তো! মন খুলে উত্তর দিন।
উলেখ্য, লিস ট্রাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কে হবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে যান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। দেখা যায় সুনকের সঙ্গে ওই লড়াইয়ে যিনি ছিলেন সেই পেনি মরডান্ট অনেকটাই দূরে। গত সাত মাসে এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসলেন ৩ জন।