Russia-Ukraine war: Vacuum Bomb কী? রাশিয়ান এই অস্ত্র কেন এত ভয়ঙ্কর?
রাশিয়ার অভিযানে ক্রমশই সংকট বাড়ছে ইউক্রেনে। ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম বোমা! কতটা ভয়াবহ এই বোম?
নিজস্ব প্রতিবেদন: মানবাধিকার সংগঠন ও ইউক্রেনের দূত সোমবারই আমেরিকাকে জানায় ইউক্রেনীয়দের উপর ক্লাস্টার বোমা (cluster bomb) এবং ভ্যাকুয়াম বোমা (Vacuum bomb) ব্যবহার করছে রাশিয়া। দিন ছয়েকের যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) শেষেও কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ রুশ সেনা। অতঃপর যুদ্ধ অব্যাহত। তার মধ্যেই অভিযোগ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নাকি এবার অত্যন্ত ভয়ানক ‘ভ্যাকুয়াম বোমা’ ব্যবহার করেছে রাশিয়া। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই অস্ত্রের নিন্দাও করেছে।
সংস্থাগুলি বলেছে যে রাশিয়ান বাহিনী ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে মনে হচ্ছে। অ্যামনেস্টি তাদের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রিস্কুলে হামলার অভিযোগ এনেছে যেখান সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মার্কারোভা অভিযোগ করেছেন যে মস্কো একটি থার্মোবারিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা ভ্যাকুয়াম বোমা নামে পরিচিত।
কী এই ‘ভ্যাকুয়াম বোমা’? কেনই বা এই হাতিয়ার এত ভয়ানক?
ভ্যাকুয়াম বোমা বা থার্মোবারিক অস্ত্র হল এক ধরনের বিস্ফোরক, যা রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা হয়। এই বোমা বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের বায়ু থেকে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কারণ, এর মধ্যে থাকে ফুয়েল-এয়ার এক্সপ্লোসিভস বা এফএই। এই জ্বালানিতে ৭৫ শতাংশ অক্সিডাইজার থাকে। ফলে অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই তা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই সময় বিস্ফোরণ স্থলে সেখানে প্রবল তাপ উৎপন্ন হয়। যা দীর্ঘস্থায়ী। ইগনিশন পয়েন্টের কাছাকাছি কেউ থাকলে শরীরে ভয়ঙ্কর আঘাত আসতে পারে।
চিকিৎসক হেলিয়ার (Dr. Marcus Hellyer) বলেন, "এই বোমের প্রভাব বেশ ভয়ঙ্কর হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফুসফুসও। কারণ সেখানে কোষ থেকেও অক্সিজেন বেরিয়ে যাতে থাকে এই গ্যাসের প্রভাবে। রাশিয়ান কৌশল আমাদের অজানা নয়। তারা সবকিছু ধ্বংস করতে পারে।" প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে এই বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ। জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী এই বোমা ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ।
শরীরে এতটা মারাত্মক প্রভাবের কারণ এই বোমায় থাকে ফুয়েল-এয়ার এক্সপ্লোসিভস। যা আদতে ইথিলিন অক্সাইড এবং প্রোপিলিন অক্সাইড। এই দুই উপাদান অত্যন্ত বিষাক্ত। বিস্ফোরণের ফলে যে মেঘপুঞ্জের সৃষ্টি হয় সেখানে এই রাসায়ানিক উপাদান মিশে থাকে। যা শরীরে ঢুকে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। এই হামলায় দেহের অভ্যন্তরই ক্ষতবিক্ষত হয়। ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের কোষে আঘাত সবচেয়ে বেশি হয়। তাই এই বোমাকে অত্যন্ত ঘাতক আখ্যা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আরও পড়ুন, Russia-Ukraine war: ভয়ঙ্কর ভ্যাকুয়াম বোমা ফেলেছে রাশিয়া, দাবি ইউক্রেনের