Ukraine Defence Ministry: মা কালীকে অপমানের দায় নিয়ে ক্ষমা চাইলেন জেলেনস্কি...
Ukraine Defence Ministry: আমাদের প্রতিরক্ষা দফতর দেবী কালীর বিকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য আমরা দুঃখিত। এটুকু বলেই থেমে যায়নি তারা। আরও যোগ করেছে। বলেছে, ইউরোপীয় হিসেবে তারা ভারতের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইউক্রেন মা কালীকে অপমান করার ঘটনার জন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিল। ক্ষমা চেয়ে সে দেশের মন্ত্রী বলেন-- (আমাদের) প্রতিরক্ষা দফতর দেবী কালীর বিকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য আমরা দুঃখিত। এটুকু বলেই থেমে যায়নি তারা। যোগ করেছে, ইউরোপীয় হিসেবে তারা ভারতের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দফতরের একটি টুইট ঘিরে রবিবার থেকে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। সেই ঘটনার দু’দিন পরে ভারতীয় তথা হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য ক্ষমা চাইল ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার।
কিন্তু কী নিয়ে সমস্যা?
একটা ট্যুইট থেকে। মেরিলিন মনরো আর এক হিন্দুদেবী, যাঁর সঙ্গে মা কালীর একটা আভাসগত মিল আছে, সেই ট্যুইটে তার একটা মিশেল যেন ফুটে ওঠে। ছবিটি আসলে এক বিস্ফোরণের। কিন্তু এসবের জেরে উঠল হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ।
কার বিরুদ্ধে উঠল এই অভিযোগ? অভিযোগ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। যার জেরে ভারতের একটা বড় অংশ ইউক্রেনকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলল। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক পরামর্শদাতা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। বিতর্ক দানা বাঁধতেই ট্যুইটটি ইউক্রেনের তরফে মুছে দেওয়া হয়। কেননা পরে ট্যুইটটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত রবিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যুইটার হ্যান্ডলে দেবী কালী সংক্রান্ত এই ছবি দেখা যায়। যদিও সেটিকে ঠিক কালীর ছবি বলা কঠিন। ট্যুইটে কালী শব্দটিরও কোথাও উল্লেখ ছিল না। বরং হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর কথা মনে পড়াই স্বাভাবিক। কেননা তাঁর একটি বিখ্যাত ছবির মতো উড়ন্ত স্কার্ট ধরে থাকার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে এক নারী মূর্তিকে। যে মূর্তির গলায় মুণ্ডমালা আর যার মুখ থেকে বেরিয়ে আছে জিভ। মুখ থেকে বেরিয়ে থাকা জিভ আর ওই মুণ্ডমালা থেকেই দেবী কালীর সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ওই নারীমূর্তির। আর সেই সাদৃশ্যের সূত্রেই বিতর্কের সূত্রপাত। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ভারতের নেটপাড়ার একাংশ। কেননা, তাঁদের দাবি, এই ছবি, তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে।