জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশজুড়ে চলছে লুঠপাট, আওয়ামী লিগ নেতাদের মারধর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। এরকম এক পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে একদল মানুষজন। আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের সংখ্যালঘুদের একাংশ।  এরকম পরিস্থিতিতে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সব ধরনের হিংসা বন্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই অভিযোগ তুলে ধরেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দেখলেই মারছে, প্রাণ বাঁচতে ভারতে এসে অকপট স্বীকারোক্তি আওয়ামী লিগের নেতার


সাম্প্রদায়িক হামলা-সহ সব ধরনের সহিংসতা রুখে দেওয়ার আহ্বানে শাহবাগ থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষকরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যের সামনে এসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শর্মি হোসেন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।


শিক্ষকদের বক্তব্য হল, বাংলাদেশ বর্তমানে কার শাসনে কোন বিধি অনুসারে চলছে? সেনাপ্রধানের, নাকি প্রেসিডেন্টের, নাকি স্পিকারের তত্ত্বাবধানে মন্ত্রীসভার অধীনে?


পুলিশের অবর্তমানে সেনাবাহিনী সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হল কেন?


সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দানে এবং সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন? এমন পদক্ষেপ এখন কে নিবে- রাষ্ট্রপতি নাকি সেনাবাহিনী?


রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাট, থানা জ্বালিয়ে দেওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরের এবং বিখ্যাত ঐতিহ্য ময়মনসিংহের শশী লজসহ নির্বিচার ভাঙচুর, ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপরে হামলা, তাদের সম্পত্তি লুটপাট ও পোড়ানো শুরু হয়। আমরা এসব সহিংসতা বন্ধের অনুরোধ জানাচ্ছি।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)