সবচেয়ে বড় অঘটনের তালিকায় জায়গা করে নিল `ট্রাম্প ভিকট্রি`
মাসখানেক আগের কতগুলো সমীক্ষা। একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারিতে তখন কোণঠাসা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাও বলছেন, আর যাই হোক ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচার করব না। সমীক্ষার ফলে বলা হল, একেবারে একপেশে হতে চলেছে এবারের নির্বাচন। সহজেই ক্ষমতায় আসতে চলেছেন হিলারি, সবচেয়ে বড় হারের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প। দুজনের ভোটের শতাংশের ব্যবধান ১১ শতাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা ওয়েবসাইটে হিসেব দেওয়া হল গত এক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর যত সমীক্ষা হয়েছে, তার অন্তত ৮০ শতাংশতেই হিলারিকেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল।
ওয়েব ডেস্ক: মাসখানেক আগের কতগুলো সমীক্ষা। একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারিতে তখন কোণঠাসা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাও বলছেন, আর যাই হোক ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচার করব না। সমীক্ষার ফলে বলা হল, একেবারে একপেশে হতে চলেছে এবারের নির্বাচন। সহজেই ক্ষমতায় আসতে চলেছেন হিলারি, সবচেয়ে বড় হারের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প। দুজনের ভোটের শতাংশের ব্যবধান ১১ শতাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা ওয়েবসাইটে হিসেব দেওয়া হল গত এক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর যত সমীক্ষা হয়েছে, তার অন্তত ৮০ শতাংশতেই হিলারিকেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ফলাফল এক নজরে
ট্রাম্প কিন্তু শুধু হাসতেন, আর বলতেন, আমিই জিতব। হিলারির বিরুদ্ধে এফবিআইয়ের ইমেল তদন্তের পর সমীক্ষায় শেষের দিকে ব্যবধান কমে এসেছিল ঠিকই, কিন্তু তাতেও হিলারিই এগিয়ে ছিলেন। ট্রাম্প কিন্তু ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন ভোটের ফলের দিন মানে ৯ নভেম্বর তিনি জয়ের পার্টি দিচ্ছেন। অনেকেই ট্রাম্পের এই আত্মবিশ্বাস দেখে হেসেছিলেন। অতি বড় ট্রাম্প ভক্তও মুখে কনফিডেন্ট দেখালেও স্বীকার করতেন লড়াই কঠিন হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষার মত বেটিং বাজারেও অনেকটা এগিয়ে ছিলেন হিলারি। কিন্তু সব হিসেব উল্টে গেল। ট্রাম্প কেন এত কনফিডেন্ট ছিলেন বোঝা গেল। ভোট গণনা যত এগিয়েছে ট্রাম্প ভক্তদের উল্লাস তত বেড়েছে। ভোট গণনার মাঝেই টুইটারে ট্রেন্ড করতে থাকে 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প'।
আরও পড়ুন- নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এই তথ্যগুলো শুনলে চমকে যাবেন
অনেকেই টুইটারে বলছেন, গত ইপিএলে লেস্টার সিটির খেতাব জয়ের থেকেও বড় অঘটন ট্রাম্পের জয়। কারণ পরিস্থিতি একেবারে প্রতিকূল ছিল ট্রাম্পের। হিলারিকে শেষ মুহূর্তে যে ইমেল তদন্ত চাপে রেখেছিল, সেটাও কেটে গিয়েছিল। ট্রাম্পের সভার বাইরেও বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল। দিনের শেষে তবু তিনি চ্যাম্পিয়ন। ট্র্যাম্পল্যান্ডকে বলাই যায় আপসেট ল্যান্ড।