নিজস্ব প্রতিবেদন: বিচ্ছেদ চিরকালীন নয়। তবে, উপযুক্ত ব্যবস্থা না-নিলে অব্যাহত থাকবে অসহযোগিতা। পাকিস্তান উদ্দেশে এমন বার্তা দিল পেন্টাগনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থতার পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রতিশ্রুতির অভিযোগ এনেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে শিলমোহর দেয় হোয়াইট হাউস। সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে। এরপর সন্ত্রাস ইস্যুকে সামনে রেখে ইসলামাবাদকে কোণঠাসা করার ব্যাখ্যাও দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত মার্কিনদূত নিকি হ্যালি। সোমবার পেন্টাগনও একই সুরে বিদ্ধ করল পাকিস্তানকে।


আরও পড়ুন- চিন সাগরে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ, বিষাক্ত তেলে ক্ষতি হতে পারে সামুদ্রিক প্রাণির


পেন্টাগনের মুখপাত্র কলোনেল রব ম্যানিং এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আমাদের প্রত্যাশা স্পষ্ট। পাকিস্তানকে তার মাটিতে কোনওভাবে তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের সন্ত্রাসের স্বর্গ তৈরি করতে দেওয়া চলবে না। মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানকে নির্দিষ্ট সমস্যার পদক্ষেপ করতে বলেছে। তাদের দ্রুত সেই পথে হাঁটা উচিত।"


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মিলিয়ে একশো কোটি ডলার সাহায্য হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। তবে, পাকিস্তান সন্ত্রাসদমনে সক্রিয় ভূমিকা নিলে এই সাহায্য ফিরে পেতে পারে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। ম্যানিংয়ের কথায়, "সন্ত্রাসকে ধ্বংস করতে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। ব্যক্তিগত স্তরে পাক সরকারের সঙ্গে কথা বলতে আমরা রাজি আছি।"


আরও পড়ুন- বিমানে-বিমানে ধাক্কা, জ্বলল আগুনের ফুলকি, এরপর...


মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় করাচি বন্দর থেকে আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য মার্কিন সেনাদের সব ধরনের সুবিধা পাকিস্তান আটকে দিতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ম্যানিং বলেন, "এখন পর্যন্ত ইসলামাবাদের কাছ থেকে তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।"


তবে, রব ম্যানিং আশার কথাও শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ অর্থ এবং আনুষাঙ্গিক সাহায্য অন্য কোনও খাতে ব্যবহার করা হবে না। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের জন্যই বরাদ্দ থাকবে ওই অনুদান।