নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভে জর্জরিত ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকার উৎপাদন বাড়াতে আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারক ও বায়োটেক কোম্পানিগুলিকে টিকা তৈরির প্রণালীর উপর পেটেন্ট বা মেধাস্বত্বের অধিকার সাময়িকভাবে শিথিল করার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (WTO) অনুরোধ করে দুই দেশ। আর এবার সেই প্রস্তাবেই সায় দিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ভারতের কূটনৈতিক জয় বলেই মানছে আন্তর্জাতিক মহল। বুধবার জো-বাইডেনের প্রশাসনে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই জানান, 'বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে যে সঙ্ট চলছে তা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। টিকা তৈরির উপর IPR (Intellectual Property Rights) বা  মেধাস্বত্বের অধিকার তুলে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করবে মার্কিন প্রশাসন। তবে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হলেও ভবিষ্যতে তা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে আমেরিকা।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'দেশবাসীর পাশে', ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক Covid হাসপাতাল গড়ল ভারতীয় সেনা


প্রসঙ্গত, বিগত বেশকয়েক সপ্তাহ ধরে আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিত সিং সান্ধু ও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য কূটনীতিবিদরা বিভিন্ন মার্কিন আইন-প্রণেতা ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে টিকার উপর স্বত্ব তোলার অনুরোধে বৈঠক করে চলেছেন। বুধবার আমেরিকার ঘোষণায় বৈঠক সফল হয়। তিনি জানান, "কোভিড ভ্যাকসিনের উপর মার্কিন পেটেন্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।" এর আগে ডেমোক্র্যাটদের একটা বড় অংশ প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে পেটেন্ট প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় জানায়। বিরোধীদল রিপাবলিকানরা অবশ্য বিরোধিতা করেন। ভবিষ্যতে মুনাফা কমতে পারে এই আশঙ্কায় বিরোধিতা করেন  সে দেশের বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিও। বাইডেনের এক উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফাউচি বলেন,''ব্যবসায় টিকে থাকতে কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে আমি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু শুধু স্বার্থ রক্ষা করার অজুহাতে প্রাণ রক্ষাকারী টিকা পাওয়ার সুযোগ থেকে জনগণকে, যাদের এটা দরকার, তাদের বঞ্চিত করতে পারি না। বিশ্বজুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, কারণ তাদের টিকা পাওয়ার সুযোগ নেই, যেটা ধনীদের আছে। আপনি এ কাজ করতে পারেন না।'' তবে আন্তর্জাতিক মহলের মতে, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে করোনা টিকার জোগান বাড়বে। তাঁদের এই সম্মতির ফলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারত ও দঃ আফ্রিকার প্রস্তাবে অনুমোদন পাওয়াটা সহজ হয়ে গেল।