নিজস্ব প্রতিবেদন: আমেরিকার চোখরাঙানি সত্ত্বেও গত অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার চুক্তিতে সই করে ভারত। সেই এস-৪০০ নিয়ে আমেরিকার মাথা ব্যথা এখনও কমছে না। রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কিনলে ভারতের বড়সড় ক্ষতি হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ওসাকায় 'জি-২০' জোটের দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে এ কথা জানান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ দফতরের সহকারী সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস জানান, প্রতিরক্ষায় ভারতকে যতটা সম্ভব সাহায্য করতে রাজি আছে আমেরিকা। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও চুক্তি করতে আগ্রহী তারা। ভারতকে আরও অনেক নতুন সমরাস্ত্র বেচতে রাজি আমেরিকা। তবে দিল্লি যদি রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু না হঠে, সে ক্ষেত্রে আমেরিকাও অন্য ভাবে ভাবতে বাধ্য হবে।


কেন রাশিয়ার থেকে ভারতের এস-৪০০ কেনা নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছে আমেরিকা? কেন অন্যান্য একাধিক সামরিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়ে ভারতকে এস-৪০০ কেনা থেকে বিরত থাকতে বলছে আমেরিকা? কী এমন ক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০-এর যার জন্য প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারত? দেখে নিন এক নজরে...



মাস খানেক আগে বায়ুসেনা প্রধান, বি এস ধানোয়া এস-৪০০-কে ‘গেমচেঞ্জার’ আখ্যা দিয়েছিলেন। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা হামলাকারী যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন চিহ্নিত করে তাকে পালটা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। এর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার। অর্থাত্, ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম। যার অর্থ হল, পাকিস্তানের প্রায় সবকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি, চিনের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি ভারতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। পাকিস্তান আর চিনের সম্পর্ক যে ভাবে সীমান্তে ভারতের চাপ বাড়াচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এস-৪০০ যে প্রতিরক্ষায় অনেকটাই শক্তি বাড়াবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।


আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান ভারতই করুক, মোদীর কোর্টে বল দিয়ে কটাক্ষ কুরেশির


২০০৭ সালে এস-৪০০ তৈরি করে রাশিয়া। একই সঙ্গে ৪৮টি শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে মাটিতে নামাতে সক্ষম এই আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এ ছাড়া, যে সব অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে রাডারে ধরা যায় না, সেগুলিকেও চিহ্ণিত করতে পারে এই এস-৪০০। তাই ভারত-রাশিয়ার এস-৪০০ চুক্তি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত আমেরিকা, পাকিস্তান, চিনের মতো সামরিক শক্তিতে মহাশক্তিধর দেশগুলিও।