নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক যেন কোনও হলিউড অ্যাকশন ফিল্মের দৃশ্য। উপকূলরক্ষীদের নজর এড়াতে সাবমেরিনে করে পাচার করা হচ্ছিল মাদক। নাটকীয় কায়দায় স্পিডবোটে করে সাবমেরিন ধাওয়া করে পাচারকারীদের হাতে-নাতে ধরলেন উপকূলরক্ষীরা। সাবমেরিনের ভিতর থেকে বাজেয়াপ্ত হল প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার কোকেনে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর উপকূলের প্রায় ১০০ মাইল দূরের প্রশান্ত মহাসাগরে। মাদক পাচারকারীদের রুখতে এই অংশে নজরদারি চালায় মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী। ১৮ জুন প্রশান্ত মহাসাগরের এই অংশে দিয়ে সাবমেরিনে মাদক পাচার হতে পারে, এমন খবর ছিল উপকূলরক্ষীদের কাছে। সেই মতো হেলিকপ্টার ও ছোট স্পিডবোটে করে নজরদারি চালানো হচ্ছিল নজরদারি। হঠাত্ই তিমি মাছের মতো দেখতে সাবমেরিন চোখে পড়ে তাঁদের। তত্ক্ষণাত্ বোট ও হেলিকপ্টারে করে সাবমেরিনটিকে ধাওয়া করেন উপকূলরক্ষীরা। খুব কাছে পৌঁছে ফিল্মি কায়দায় উপকূলরক্ষীরা লাফ দিয়ে নামেন চলন্ত সাবমেরিনের মাথায়। তার পর হ্যাচ খুলে পাকড়াও করেন পাচারকারীদের। গোটা ঘটনাটিই ধরা পরে উপকূলরক্ষীদের ক্যামেরায়। লোমহর্ষক সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 


 



মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি, ৪০ ফুট লম্বা সাবমেরিনের ভিতর থেকে পাওয়া গেছে প্রায় ৭,৭১১ কেজি কোকেন। মাদকের বাজারে যার মূল্য প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। একসঙ্গে এতটা কোকেন দেখে চক্ষু চড়কগাছ উপকূলরক্ষীদেরও। 


তবে, সাবমেরিনে মাদক পাচার নতুন কিছু না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোকেনের ১১% পাচার হয় সাবমেরিনে। মাদক পাচারের উদ্দেশেই এই সাবমেরিনগুলি তৈরি করে পাচারকারীরা। দক্ষিণ আমেরিকার গভীর অরণ্যে ছোটোখাটো কারখানায় বানানো হয় এই সাবমেরিনগুলি। উপকূলরক্ষীদের ভাষায় এগুলিকে নার্কো-সাব বলা হয়। তবে, সমুদ্রের বেশি গভীরে যেতে পারে না এই সাবমেরিনগুলি।  


আরও পড়ুন: ডিম বাঁচাতে চলন্ত ট্রাক্টরের সামনে থেকে এক চুলও নড়ল না মা পাখি, ভিডিয়ো ভাইরাল