জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধীরে ধীরে দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ফের জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলেও এবার ট্রাম্পের রাজপাট ততটা মসৃণ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে এখন মোট ঋণের পরিমাণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। গত ৩১৬ দিনে দেশের ঋণ বেড়ে রোজ ৬.৩ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মূদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ৫,৩১,৯৪, ৮৫, ৭৮,৪৯০ টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উঠল 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ধৃত সাধু চিন্ময় দাসকে নিয়ে বড় নির্দেশ আদালতের


ওই বিপুল ঋণের বোঝার অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের মাথার উপরে ১০৮,০০০ ডলার ঋণের বোঝা। এটা একমাত্র তুলনা করা যেতে পারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের সঙ্গেই। করোন অতিমারীর সময় থেকেই ঋণের বোঝা বাড়াতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের । ওই সময় ঋণ বেড়েছিল ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার।


একটি রিপোর্ট মতে গত ২ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে ঋণের বোঝা বেড়েছে অবিশ্বাস্য হারে। ২০০০ সালে দেশের মাথায় ঋণ ছিল ৫.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। আর ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসোন্যাশনাল বাজেট থেকে বিশেষ্জ্ঞরা বলছেন, আগামী দশকে ঋণের বোঝা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৫৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে দেশের ঋণের পরিমাণ দেশের জিডিপির ১২৫ শতাংশের সমান।


এই বিপুল ঋণের ফল কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে দেশের ঋণ ও জিডিপির অনুপাত দাঁড়াবে ২০০ শতাংশে। এর ফলে ধীরে ধীরে পরিকাঠানো উন্নয়ন, সরকারি কর্মীদের বেতন ও  শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে।


পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি খরচ কমানে ও দেশের মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির উপরে জোর দিতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইলন মাস্ক ও বিবেক রামস্বামীকে।  



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)