ওয়েব ডেস্ক : সামরিক অনুদান চাই? সন্ত্রাস দমনে কাজ করে দেখাও। পাকিস্তানকে কড়া শর্ত দিল আমেরিকা। অনুদান আইনে সংশোধনী পাস হল আমেরিকায়। একদিকে সন্ত্রাস দমনের নামে কোটি কোটি ডলারের সামরিক অনুদান আদায়। অন্যদিকে, লুকিয়ে চুরিয়ে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকেই মদত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ বারবার সরব হয়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদেই ওসামা বিন লাদেনের হদিশ, দ্বিচারিতার অভিযোগকেই প্রমাণ করেছে। বহু মোস্ট ওয়ান্টেট আন্তর্জাতিক জঙ্গি পাকিস্তানেই নিরাপদ আশ্রয়ে আছে বলে দাবি পশ্চিমী গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। এবার কড়া হল আমেরিকা। ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন আইনে ৩টি সংশোধনী নিয়ে এল মার্কিন পার্লামেন্টের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। বিলে শর্ত রাখা হয়েছে, এবার থেকে সন্ত্রাস দমনের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারলেই সামরিক অনুদান পাবে পাকিস্তান।


আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সবুজ সঙ্কেত দিলেই ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের পরবর্তী অনুদান পাবে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে দাবি করে পাকিস্তানের কাছে এই শর্ত যথেষ্টই অপমানজনক। কিন্তু, সেদেশের আর্থিক অবস্থা এমনই যে আমেরিকার অনুদান প্রত্যাখ্যান করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন- ২১ অগাস্টের সূর্যগ্রহণের জেরে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্‍ ঘাটতি হতে চলেছে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রে!