নিজস্ব প্রতিবেদন: ওসামা বিন লাদেনের পর তার ছেলে হামজা বিন লাদেনকেও খতম করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মাসখানেক পর সে কথা বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন সেনা। ওই অভিযানেই মারা গিয়েছে লাদেনপুত্র। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লাদেনের মতোই হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুতে শীর্ষ নেতা হারাল আলকায়দা। শুধু তাই ওই সংগঠনের কার্যকলাপও ধাক্কা খাবে। কবে সেনা অভিযান চালানো হয়েছিল, তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি। 


মাসখানেক আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, হামজাকে খতম করেছে সেনা। গত ৩১ জুলাই মার্কিন এনবিসি নিউজ দাবি করে, হামজাকে খতম করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ শীর্ষ আধিকারিক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন,''কোনও মন্তব্য করব না।''  



পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া নাকি ইরানে গৃহবন্দি, 'জিহাদের যুবরাজ' হামজার অবস্থান নিয়ে একাধিক জল্পনা ছড়িয়েছিল। ৩০ বছরের হামজা আলকায়দায় ২০১৮ সালে শীর্ষ পদ পেয়েছিল। বাবার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। ৯/১১ হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খতম করে মার্কিন সেনা। ওসামার জীবিত তিন স্ত্রীয়ের মধ্যে খাইরা সাবারের ছেলে হামজা। অ্যাবোটাবাদে লাদেনের সঙ্গে ছিল খাইরা সাবার। 


আলকায়দার শীর্ষ পদে যাওয়ার পর হামজা আগামী দিনে বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে হামজার পিছনে পড়েছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। চলতি বছরের মে মাসে হামজার মাথার দাম ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। 


আরও পড়ুন- পাক অধিকৃত কাশ্মীরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভাতেই উঠল ‘গো ব্যাক ইমরান’ স্লোগান