ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আর্জি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই সুর নরম করেছেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জং-এর স্ত্রী মুনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এমনটাই দাবি করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। কিন্তু কেন? দুই কোরিয়ার ‘মিলনে’ না কি সিংহভাগ কৃতিত্ব রয়েছে ট্রাম্পের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক চাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হেঁটেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। শুধুই হাঁটেননি, সে দেশের সব পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কিম।
আরও পড়ুন- জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনে ইজরায়েল যেতে পারেন ট্রাম্প
প্রায় ছয় দশক পর গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার কোনও রাষ্ট্রনায়ক প্রতিবেশি দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত্ করলেন। এই সাক্ষাত্ পর্ব শুধু দুই দেশের কাছে নয়, বিশ্বের কাছেও যেথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, জুনের প্রথম দিকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে কিমের। তার আগে পরমাণু নিরস্ত্রকরণ নিয়ে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন কিম।
আরও পড়ুন- সরকারের পথে না হাঁটায় মুম্বই হামলার প্রধান আইনজীবীকে হটিয়ে দিল পাকিস্তান
সম্প্রতি চিন সফরে কিম জানিয়েছিলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটবেন কিম। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কিম দাবি করেছেন, মে মাসেই পরমাণু পরীক্ষাগার বন্ধ করে দেবেন। তদন্ত করে দেখার অনুমতিও দেওয়া হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ-সহ সাংবাদিকদেরও।
আরও পড়ুন- বিবেকানন্দের স্মৃতি উস্কে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন শিকাগোয়
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই সুর নরম করেছেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জং-এর স্ত্রী মুনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। তার প্রত্যুত্তরে মুন জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতায় এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে। তাই তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য ২০০০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জং।
আরও পড়ুন- কাবুলে জোড়া বিস্ফোরণে মৃত ২৭, বাদ যাননি সাংবাদিকরাও