নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসরোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাল আমেরিকা। দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার কার্যনির্বাহী সহ-সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেন, “চন্দ্রযান-২ নিয়ে ইসরোর দুর্ধর্ষ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। এই মিশন ভারতকে অনেক কদম এগিয়ে রাখবে। চন্দ্রযান যে সব মূল্যবান তথ্য প্রেরণ করবে তা বিজ্ঞানের সাফল্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।” গতকাল চন্দ্রপৃষ্ঠে সফ্ট ল্যান্ডিং করার কথা ল্যান্ডার বিক্রমের। মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরত্বে ওই ল্যান্ডেরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সংকেত পাওয়া যায়নি বিক্রমের তরফ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চন্দ্রযান-২ ষোলোআনা সফল না হলেও, বেশিরভাগটাই লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে। এখন চাঁদকে কেন্দ্র করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামারার অরবিটার প্রদক্ষিণ করছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি পাঠাবে এটি। যা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন কূটনীতিক ওয়েলস জানান, “আমরা নিশ্চিত মহাকাশ জগতে ভারত নিজের জায়গা করে রাখার ক্ষমতা রাখে।”


আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে ক্ষোভ দলের অন্দরেই, থমথমে অসমে আজ অমিত শাহ


গতকাল নাসার তরফেও চন্দ্রযান নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়। নাসা জানায়, মহাকাশ চ্যালেঞ্জিং বিষয়। চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে চন্দ্রযানের-২-এর এই অভিযানের জন্য ইসোরর প্রশংসা করে নাসা। ইসরোর এই পদক্ষেপে অনুপ্রাণিত হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বলে জানায় নাসা। শুক্রবারই নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযানের ৬০ শতাংশই ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর ইজরায়েলের চন্দ্রাভিযানও সফল হয়নি। ইসরোর মতে এই অভিযান ৯০-৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কাজ করবে অরবিটার। ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, ''অভিযানের প্রতিটি ধাপের সাফল্যের পর্যালোচনা হয়েছে। ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সফল হয়েছে মিশন।'' অরবিটারের আয়ু একবছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন শিবন।