ভারতকে আক্রমণ করে F16-এর অপব্যবহার করেছে পাকিস্তান, জবাবদিহি চাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিমূর্লকরণেই এফ-১৬ ব্যবহার করা যাবে। কোনও দেশের উপর আক্রমণে, তা ব্যবহার করা যাবে না। বিক্রির সময় এই নিয়মগুলি ছিল। তা মেনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই এই যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ধাক্কা সামলাতে যুদ্ধবিমান এফ-১৬ উড়িয়েছিল পাকিস্তান। ভারতকে আক্রমণ করতে সেই যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়েছিল এদেশের আকাশসীমায়।
আর এই আক্রমণ করতে গিয়ে নিয়ম ভেঙেছে পাকিস্তান। এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের অপব্যবহার করেছে পাকিস্তানি সেনা। তাই ইমরান খানের দেশের কাছে জবাবদিহি চাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রায় ২০টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ ছিল। ভারতীয় বায়ুসেনার তাড়া খেয়ে অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন: কারচুপি ধরা পড়ায় অভিনন্দনের ভুয়ো ভিডিয়ো সরাতে বাধ্য হল পাকিস্তান
সেই তাড়ায় ভারতের একটি মি-২১ থেকে মিসাইল ছোড়েন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। সেই হামলায় একটি এফ-১৬ ভেঙে পড়ে। বুড়ো মিগ কীভাবে একটি এফ-১৬ ভেঙে দিল, সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বারবার।
আর এই পরিস্থিতি মার্কিন জবাবদিহি তলব স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে ফেলল পাকিস্তানকে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জবাবদিহি চাওয়া হল?
আরও পড়ুন: আল কায়েদার মাথা লাদেন পুত্র! খবর দিলেই ১০ লক্ষ ডলার পুরস্কার আমেরিকার
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিমূর্লকরণেই এফ-১৬ ব্যবহার করা যাবে। কোনও দেশের উপর আক্রমণে, তা ব্যবহার করা যাবে না। বিক্রির সময় এই নিয়মগুলি ছিল। তা মেনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেই এই যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার উল্টোই হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যবহার না করে পাকিস্তান ভারতকে আক্রমণের জন্য এফ-১৬ ব্যবহার করে। সেটাইকেই অপব্যবহার হিসেবে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: জইশকে বাঁচাতে মরিয়া পাকিস্তান, প্রশ্নের মুখে ইমরানের শান্তির বার্তা
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।
তার পাল্টা হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আরও একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
আরও পড়ুন: রাতভর পাক সেনার টানা গোলাগুলি, পুঞ্চে নিহত ২ শিশু সহ একই পরিবারের ৩ জন
সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ও ছিল। পরে ভারতের তরফে জানানো হয়, এদেশের সৈন্যঘাঁটিই ছিল পাকিস্তানের আক্রমণের লক্ষ্য।
কিন্তু তা মানতে নারাজ পাকিস্তান। মার্কিন রোষ থেকে বাঁচার জন্যই এখন অস্বীকার করছে ইমরান খানের দেশ, সেটাও স্পষ্ট হয়ে গেল। এখন দেখার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কী জবাব দেয় পাকিস্তান।