নিজস্ব প্রতিবেদন: সবেমাত্র উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কারের অবসান হয়েছে। শান্তির বার্তা দিয়ে একসঙ্গে পথচলার কথা বলেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াও। এমন আবহেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোপে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের উপরে ফের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবত্ করলেন তিনি। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি খারিজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, চুক্তি বাতিলের ফলে ধাক্কা খাবে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসবাদে উত্সাহদানের প্রবণতাতেও দাড়ি টানা যাবে। 


ট্রাম্প মনে করেন, এই চুক্তি ভুলে ভরা। কারণ, চুক্তির সব শর্ত মানা হলেও ইরান পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে পরিণত হবে। তাঁর কথায়, ''চুক্তিকে অনুমোদন দিলে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা না হলে তার পক্ষ হবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।'' এরইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, ''আজকের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনও ফাঁকা হুমকি দেয় না। প্রতিশ্রুতি দিলে সেটা পূরণ করি আমি।''


ট্রাম্পকে এই চুক্তি খারিজ না করার অনুরোধ করেছিলেন ইউরোপিয়ান নেতারা। তাঁদের আশঙ্কা, এরপর ফের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্প শুরু করতে পারে তেহরান। কিন্তু, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের আর্জি উড়িয়ে দিয়েই চুক্তি বাতিল করলেন ট্রাম্প। 


প্রশ্ন উঠছে, এরপর কী পদক্ষেপ করবে ইরান? পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথার দাম নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সরকার বদলে গেলে কী আগের সরকারের করা চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হবে? ব্যক্তিগত আদর্শ ও পছন্দই কি আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণ করবে?


আরও পড়ুন- চতুর্থবার রাশিয়ার সিংহাসনে বসতে শপথ নিলেন পুতিন