নিজস্ব প্রতিবেদন: প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! এমনই ইঙ্গিত দিলেন বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "শর্তসাপেক্ষ প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আসা যেতে পারে।" তিনি এও স্পষ্ট করেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয় নিয়ে কোনও বিরোধ নেই। ওবামা সরকারের 'স্বাক্ষরিত চুক্তি' ঠিক ছিল না। দেশের উন্নয়নে বাধা হতে পারে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, এই আশঙ্কায় সরে এসেছিলেন বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিশ বছর পর ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বৈঠক হতে পারে ট্রাম্পের সঙ্গে


এ দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মার্কিন উন্নয়নে সহায়ক হলে এগোনো যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন রোখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যে তাঁর প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বাণিজ্যের সঙ্গে আপোষ করার পাক্ষপাতী নন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। ওবামা প্রশাসনের চুক্তি অনুযায়ী এগোলে দেশ বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে এদিন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প।


আরও পড়ুন- অনুঘটক অলিম্পিক্স! হাত মেলালো দুই কোরিয়া


প্রসঙ্গত, ২০১৭-য় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসে ট্রাম্প সরকার। ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রচারে প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ৩ লক্ষ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। সাড়ে ৬০ লক্ষ মার্কিনি বেকার হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। এরফলে, চিন এবং ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির কাছে পিছিয়ে পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


আরও পড়ুন- কাটল H1B ফাঁড়া, চাকরি বাঁচল কয়েক লক্ষ ভারতীয়র


ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মার্কিন বাণিজ্য এবং শ্রমিকদের ক্ষতি করবে না এমন জলবায়ু চুক্তিতে শর্তসাপেক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মূল লক্ষ্য শিল্পবিপ্লব পরবর্তী বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা। বলে রাখি, বিশ্বের মোট কার্বন গ্যাসের ১৫ শতাংশ উত্পাদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্টই।