নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করার ব্যাপারে দের করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন WHO প্রধান ডক্টর তেদ্রোজ আধানম। তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসকে ‘আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ইমারজেন্সি’ বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল হু। "মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রগুলিকে," সাফ বক্তব্য তাঁর।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংকটে সমালোচকরা বারবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের সঙ্গে WHO-এর সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে চিনা বিশেষজ্ঞদের কথা মেনেই করোনাভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুদান বন্ধ করার কথাও ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে জবাব দিলেন WHO প্রধান।


তিনি বলেন, "অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি আসন্ন মনে না হলে এমন ঘোষণা করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা"। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, এ বিষয়ে সতর্ক হতে অনেক দেরি করে ফেলেছে বেশিরভাগ রাষ্ট্র। যার ফলে এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে সংক্রমণ। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বাড়তে থাকা সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তেদ্রোজ। হাইতি, সোমালিয়া ইত্যাদি দেশের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আগামী দিনে বিশ্বে এর কী প্রভাব পড়তে পারে তাই ভেবে আমরা শঙ্কিত।"



প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল WHO। কিন্তু তার সপ্তাহ দুই আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি টুইট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ১৪ জানুয়ারি ওই টুইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, "চিনে মানুষ থাকে। মানুষে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনও হদিস মেলেনি।" এই টুইটকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।


আরও পড়ুন,  'বাঁচতে হবে, বাড়ি ফিরতে হবে', টানা ১৩ দিন সাইকেল চালিয়ে তামিলনাড়ু থেকে ডায়মন্ডহারবার ফিরলেন যুবক