নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবর্তনের দিক থেকে শিম্পাঞ্জি মানুষের সব চেয়ে কাছের 'আত্মীয়'। প্রায় ৫ কোটি বছর আগে বিবর্তনের গতিপথ দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একটি দিকের শেষে এল মানুষ, অন্যটির শিম্পাঞ্জি। একটি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে, আমাদের ডিএনএ-র ঠিক কোন উপাদান শিম্পাঞ্জি ও মানুষের মস্তিষ্ককে আলাদা করে দিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল এই সংক্রান্ত গবেষণা করেছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নিউরোসায়ন্সের অধ্যাপক যোহান জেকবসন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা জীবন্ত মানুষ বা শিম্পাঞ্জি নিয়ে কাজ করেননি। কাজ করেছেন স্টেম সেল নিয়ে। 


আরও পড়ুন: World Urbanism Day: শহর দিয়েই গ্রাম ঘেরা চলছে বছরের পর বছর; তারই উদযাপনদিন


মানুষ ও শিম্পাঞ্জির স্টেম সেল থেকে দুজনেরই ব্রেন সেল তৈরি করে নিয়েছেন তাঁরা। পরে এ দুটির তুলনা করেন। দেখা যায় গঠনগত ভাবে মোটামুটি একই ডিএনএ-র একটি বিশেষ অংশ মানুষ ও শিম্পাঞ্জি ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে আর তারই ফলে এই দুই প্রজাতির বিবর্তন সম্পূর্ণ আলাদা পথে এগিয়ে যায়। গবেষণার ওই পদ্ধতি ২০১২ সালেই নোবেল কমিটির কাছে স্বীকৃত। 


সাধারণত ২ শতাংশ কোডেড ডিএনএ-কেই এতকাল গবেষণার আওতায় রাখা সম্ভবপর হচ্ছিল। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতি গবেষণার পরিসর অনেকটাই বিস্তৃত করল। এর ফলে বাকি মানুষের মস্তিষ্কের ডিএনএ-র ৯৮ শতাংশে কী রহস্য লুকিয়ে, সেটা দিনে দিনে জানাই এখন বিজ্ঞানীদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা এবার সম্ভবও, কেননা, স্টেম সেলের মাধ্যমে খুলে গিয়েছে নতুন পথ। 


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Woman to Walk in Space: মহাকাশে প্রথম কোনও চিনা মহিলা