ললিত মোদী কি পাবেন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব?
ললিত মোদী কি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে পারেন? গত দুবছর ব্রিটেনেই আছেন। সে দেশে তার ব্যবসার পরিমাণও কম না। ব্রিটিশ আইন কিন্তু অনেকটাই ললিত মোদীরই পক্ষে। একবার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেলে ভারতীয় তদন্তকারীদের অনেকটাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন তিনি। আইপিএল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ব্রিটেন পারি দেন ললিত মোদী। তার পর আর তাঁকে ছুঁতে পারেননি ভারতের তদন্তকারীরা। তবে বাজেয়াপ্ত করা হয় ললিতের পার্সপোর্ট। এ অবস্থায় ২০১৪-য় দু বছরের জন্য ব্রিটেনে থাকার অনুমতি পান আইপিএল কেলেঙ্কারির নায়ক।
ব্যুরো: ললিত মোদী কি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে পারেন? গত দুবছর ব্রিটেনেই আছেন। সে দেশে তার ব্যবসার পরিমাণও কম না। ব্রিটিশ আইন কিন্তু অনেকটাই ললিত মোদীরই পক্ষে। একবার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেলে ভারতীয় তদন্তকারীদের অনেকটাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন তিনি। আইপিএল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ব্রিটেন পারি দেন ললিত মোদী। তার পর আর তাঁকে ছুঁতে পারেননি ভারতের তদন্তকারীরা। তবে বাজেয়াপ্ত করা হয় ললিতের পার্সপোর্ট। এ অবস্থায় ২০১৪-য় দু বছরের জন্য ব্রিটেনে থাকার অনুমতি পান আইপিএল কেলেঙ্কারির নায়ক।
লন্ডনে ললিত মোদী। বরো অফ চেলসির স্লোয়েন স্ট্রিট, লন্ডনের অন্যতম সম্ভ্রান্ত ঠিকানা।
এই রাস্তারই কর্নার প্লটে লোলিত মোদীর বর্তমান প্রাসাদ। পাঁচ তলা বাড়িটি প্রায় সাত হাজার স্কোয়ার ফুটের বাড়িতে রয়েছে ১৪টি ঘর, ইনবিল্ড লিফ্ট।
এই বাড়িতেই এখন থাকেন ললিত মোদী। আইপিল কেলেঙ্কারির পর ভারতে মোদীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। ফলে মোদী চাইছেন এবার ব্রিটেনই তাঁর দেশ হোক।
লোলিত মোদীর মত যাঁরা ব্রিটেনে আছেন তাদের জন্য ব্রিটিশ আইনের কোন কোন দরজা খোলা রয়েছেন?
কী বলছে ব্রিটিশ আইন? সে দেশে দু লক্ষ পাউন্ডের বেশি বিনিযোগ থাকলে ব্যবসায়ীদের নাগরিকত্বে সিলমোহর দেয় ব্রিটিশ সরকার। এ মুহূর্তে ব্রিটেনে দশ লক্ষ পাউন্ডের কাছাকাছি বিনিয়োগ রয়েছে ললিত মোদীর।
দশ জনের বেশি কর্মচারী রয়েছে এমন ব্যবসায়ীদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হয়।
একবার ব্রিটিশ পাসপোর্ট হাতে পেলে প্রচুর সুবিধা পাবেন ললিত মোদীও।
ব্রিটিশ নাগরিকত্বের সুবিধা, ব্রিটিশ পাসপোর্ট হাতে পেলে ভিসা ছাড়াই ১৭০টি দেশে যেতে পারবেন মোদী।
সহজে এড়িয়ে যেতে পারবেন ভারতীয় তদন্তকারীদের সমন।
ভারতকেও মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা ভাবতে হবে
তবে এতে ললিত মোদীর স্বস্তির কারণ দেখছেন না ব্রিটিশ আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বহুক্ষেত্রেই অন্যদেশে অপরাধ করে এসেছেন , এমন নাগরিকদের রক্ষা করেনি ব্রিটিশ সরকার।