নিজস্ব প্রতিবেদন : হিউস্টনে হাইডি মোদীর আসরে ছিল জমজমাট নৈশভোজের আয়োজন। নৈশভোজের মূল আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় গুজরাটি খাবার। আর সেই গুজরাটি খাবারই চুরি করতে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়লেন এক প্রবাসী গুজরাটি মহিলা। প্রবীণ মহিলার ধোকলা চুরির সেই ভিডিয়ো ২৫ সেপ্টেম্বরেই পোস্ট করা হয় টুইটারে। আর তারপরেই তা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING



ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে হাউডি মোদীর নৈশভোজে খাওয়া-দাওয়া সারছেন এক গুজরাটি দম্পতি। টেবিলে প্লেটে ধোকলা ও জিলিপি। প্রবীণ মহিলা ধোকলা খেতে খেতেই পর পর বেশ কয়েকটি ধোকলা কোথাও একটা ভরে ফেললেন। পুরো বিষয়টাই লুকিয়ে লুকিয়ে স্মার্টফোনে ভিডিয়ো করে নেন তাঁদেরই টেবিলে বসা এক ব্যক্তি। আর তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। অল্প সময়েই তা ভাইরাল হয়ে যায়।  


 



ভারতীয়রা অনেকেই উত্সব-অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত খাবার খেতে না পারলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। অনেকে বাড়ির ছোটদের জন্যও কৌটো ভরে খাবার নিয়ে যান। ভারতীয়দের মধ্যে তাই নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে খাবার নিয়ে আসা খুবই সাধারণ বিষয়। 


কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ অনেকেই। হাউডি মোদীতে গিয়ে প্রবাসী গুজরাটি মহিলার ধোকলা চুরি নিয়ে ট্রোলিং করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, খেতে পারবেন না জেনেও পাতে অতিরিক্ত খাবার নিয়েছিলেন কেন? আবার অনেকে বলেন, হাউডি মোদী-তে গিয়েও বিত্তশালী পরিবার এভাবে খাবার চুরি করছে। এর থেকেই তাঁদের মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। 


 



তবে, বয়স্ক মহিলার পাশেই দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের বক্তব্য, বাড়ির ছোটদের জন্য হয় তো অল্প খাবার নিয়েছেন। এতে দোষের কিছু নেই। বরং খাবার নষ্ট না করাই ভারতীয়দের সংস্কৃতি। তার সঙ্গে বিপরীত যুক্তিও দেখান তাঁরা। সমলোচকদের আক্রমণ করে বলেন, "কেউ যখন হোটেল থেকে সর্বস্ব চুরি করে পালান, তখন এনারা তা দেখতে পাননা। এদিকে শুধু শুধু এই নিরীহ বয়স্ক দম্পতিকে আক্রমণ করা হচ্ছে।"