World Senior Citizen`s Day: বিশ্ব জুড়ে ২১ অগস্ট দিনটি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কেন বিশিষ্ট জেনে নিন...
আজ তাঁরা বয়সের কারণে সমাজের পিছনের সারিতে। কিন্তু সে তো কালের নিয়মে। এজন্য তো তাঁদের অতীত অবদানটা ছোট হয়ে যায় না। আর সেই অবদানটার দিকে তাকিয়েই এমন এক দিন-ভাবনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমাজে প্রবীণের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক লগ্ন এই ২১ অগস্ট। আজ যাঁরা প্রবীণ, কয়েকদশক আগেও তাঁরাই ছিলেন সমাজের চালিকাশক্তি। নতুনের আহ্বায়ক, নতুন পরিকল্পনার পিছনে থিংকট্যাংক। অথচ আজ তাঁরা বয়সের কারণে সমাজের পিছনের সারিতে। কিন্তু সে তো কালের নিয়মে। এজন্য তো তাঁদের অবদানটা ছোট হয়ে যায় না। সেই অবদানটার দিকে তাকিয়ে এমন একটা দিন-ভাবনা। ১৯৮৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন প্রথম এরকম একটি দিনের প্রস্তাব করেছিলেন। সন্দেহ নেই, সময়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়েই ভেবেছিলেন তিনি। প্রথম সিনিয়র সিটিজেন ডে পালিতও হয়েছিল এই ২১ অগস্টই। তবে ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এর বিশ্বব্যাপী উদযাপনের কথা ঘোষণা করে। সেই হিসেবে এ বছর দিনটির ৩২ তম উদযাপন দিন। এমনি এমনি অবশ্য দিনটি পালনের কথা ভাবা হয়নি। স্বীকৃতির চেয়েও সহানুভূতিটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকের সমাজে। বিশ্ব জুড়ে নানা দেশেই প্রবীণ ও বৃদ্ধেরা অবহেলিত। যতটা মনোযোগ তাঁদের প্রাপ্য ততটা তাঁরা হয়তো পান না। আজকের ব্যস্ত দুনিয়ায় তাঁদের কিন্তু এটাই খুব সামান্য চাহিদা। একটু আান্তরিক মনোযোগ।
আরও পড়ুন: International Lefthanders Day: বাঁ হাত দিয়েই এঁরা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন সভ্যতার ইতিহাসের চাকা
এমন নয় যে, আজকের বৃদ্ধেরা সব সময়েই পিছনের সারিতে থাকেন। বরং উল্টোটাই। আজ তাঁরা নানা ক্ষেত্রেই নিজেদের কাজে জড়িয়ে রাখেন। নানা সামাজিক কাজে, নানা স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রকল্পে। নিজেদের অতুল অভিজ্ঞতা তাঁরা সানন্দে ভাগ করে নেন তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে।
সুতরাং আজ সব চেয়ে ভালো হবে যদি আপনি আপনার পরিবারের যিনি প্রবীণ তাঁর সঙ্গে কিছুটা কোয়ালিটি টাইম কাটান, তাঁকে সঙ্গ দেন, আপনার ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বাঁচিয়ে তাঁর সঙ্গে কিছুটা সুখ-দুঃখের গল্প করেন।