ওয়েব ডেস্ক: ১৯ মে, বৃহস্পতিবার। বাংলা জুড়ে উঠল 'দিদি ঝড়'। আর সেই ঝড়ে ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল বিরোধীরা। সেদিন ঝড় শুধু বাংলার ভোট বাক্সেই ওঠেনি, বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী সাইক্লোন রোয়ানু। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী যেকোনও সময় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। রোয়ানুর তাণ্ডব শুরু হওয়ার আগে জেনে নিন কোনটা বিশ্বের সবথেকে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৭০ সাল। বাংলাদেশ তখনও বাংলাদেশ হয়নি। দেশটার নাম তখনও পূর্ব পাকিস্তান। নভেম্বর মাসের ৮ তারিখ। খবরে শোনা যাচ্ছিল বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে এক প্রবল শক্তিশালী সাইক্লোন, ভোলা। দিন তিনেক পর সেই সাইক্লোন আছড়ে পড়ল বাংলাদেশে। ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে শুরু করে বাতাস। একসময় বাতাসের বেগ গিয়ে পৌঁছয় ২২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তছনছ হয়ে যায় প্রায় গোটা দেশটাই। গঙ্গার জলে ঢেউ ওঠে ৩৩ ফুট লম্বা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থকে নদীর জল ৪ ফুট উঁচুতে উঠে আসে। বিমানবন্দরও চলে যায় জলের নীচে। মৃত্যু হয় ৫ লক্ষ মানুষের। এই সাইক্লোনে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ভোলা জেলার উপজেলা তাজুমুদ্দিন। এখানকার প্রায় অর্ধেক জনবসতি গ্রাস করে নিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ভোলা। এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিমবাংলাও।


ভোলা ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের এ পর্যন্ত ঘটা সবথেকে বড় বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের কবল থেকে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে লেগে গিয়েছিল প্রচুর সময়। এই ঝড় শুধু প্রকৃতিকে নয়, হেলিয়ে দিয়েছিল দেশের সরকারকেও। বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করেই বিপুল ভোটে জয় পেয়ছিল আওয়ামি লিগ। প্রকৃতি থেকে রাজনীতি, সবকিছুকে ওলোট-পালোট করে দিয়েছিল যে ভোলা ঘূর্ণিঝড়, সেই ঝড়কেই বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় মানা হয়। কেমন ছিল এই ঝড়ে ভয়াবহতা দেখুন নিচের ভিডিওতে।