নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বের সব চেয়ে নিঃসঙ্গ হাতি অবশেষে পেল তার সঙ্গী। ভাঙাচোরা চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধারের পরে আট বছরে এই প্রথম তার স্বজাতির মুখ দেখার মুগ্ধ দিন! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাভান। শ্রীলঙ্কার হাতি। যার জীবনের তিন দশকই ইসলামাবাদে কেটেছে বন্দিদশায়। তবে তার দুঃখের দিন শেষ হয়েছে। গতমাসে তাকে কম্বোডিয়ার এক স্য়াংচুয়ারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই ঘটেছে তার বন্ধুপ্রাপ্তি।


বন্ধুটিও আর এক জাম্বো। দু'জনের দেখা হতেই তারা শুঁড় দিয়ে পরস্পরকে স্পর্শ করেছে। হয়তো আদানপ্রদান করেছে নিজেদের অনুভূতিও।


দেখা গিয়েছে কাভান তার নতুন এই বড়সড় আস্তানা বেশ পছন্দ করেছে। সেখানে সে টায়ার নিয়ে খেলছে, ধুলো খেলছে। শ্রীলঙ্কায় জন্ম হলেও কাভানকে শ্রীলঙ্কা ১৯৮৫ সালে উপহার হিসেবে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এটা ছিল দু'দেশের সুসম্পর্কের নজির। প্রথম থেকেই অবশ্য কাভান এমন নিঃসঙ্গ ছিল না। বাংলাদেশ থেকে ১৯৯০ সালে আনানো হয়েছিল সহেলি নামের এক হাতিকে। কিন্তু ২০১২ সালে মারা যায় সহেলি। তার পর থেকে কাভান আবার একা। 


২০১৬ সালেই প্রথম নজরে আসে যে, চিড়িয়াখানায় কাভানকে বেশিরভাগ সময়েই শৃঙ্খলিত থাকতে হচ্ছে। ঠিক হয় যে, কাভানকে আরও ভালো ভাবে রাখা হবে। তার পরেও অবশ্য অনেক সময় গড়িয়ে যায়। অবশেষে এই কোভিড-আক্রান্ত বিশ্বেই ভাগ্যের চাকা ঘুরল কাভানের। ঠিক করা হল, কাভানকে কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইসলামাবাদে অবশ্য কাভানের জন্য় ফেয়ারওয়েল পার্টি হয়েছে। কম্বোডিয়ায় পৌঁছেও কাভান খুব উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছে। এবং সেখানে এসেই তার সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি স্বজাতির এক বন্ধু। আট বছর পরে! পশুবিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এখন থেকে খুবই ভাল থাকবে কাভান। এবং তার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে রয়েছে! 


আরও পড়ুন: 'প্যান্ডেমিক' এ বছরের সব চেয়ে আলোচিত শব্দ