নিজস্ব প্রতিবেদন: 'লেখক ড. হুমায়ূন আহমেদের বাসা এই দিকে'। এই মর্মে একটা সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি দৃশ্যমান এক অপূর্ব সুন্দর বিচে। বিচটির নাম সেন্টমার্টিন। ওই সাইনবোর্ড ধরে এগিয়ে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে 'সমুদ্রবিলাসে'।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদীর তীরে বাড়ি নয়, এ হল একেবারে সমুদ্রতীরের বিলাস। 'সমুদ্রবিলাস' বাংলাভাষার প্রখ্যাত লেখক বাংলাদেশের হুমায়ূন আহমেদের (Humayun Ahmed) সমুদ্রসৈকতের কটেজ। হুমায়ূনের অবশ্য আরও অনেক পরিচয়। তিনি অধ্যাপক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতাও। সৃষ্টিশীল কাজের কারণে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন পরে। 



বাংলাদেশের অসম্ভব জনপ্রিয় বর্ণময় এই লেখক সমুদ্রের তীরঘেঁষে নির্মাণ করান তাঁর প্রিয় এই 'সমুদ্র বিলাস' কটেজ। সকাল-বিকেল রঙ বদল করা সেন্টমার্টিনের অনেক রঙ ও রূপের দেখাই মেলে এই সমুদ্র-বিলাস থেকে। সঙ্গে জলগর্জন, সমুদ্রবাতাসের সিম্ফোনি।


আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেন এবার জাপানেও


এটি প্রয়াত লেখকের ঠিকই। তবে চাইলে এই কটেজে এখন যে কেউ থাকতে পারেন। কেননা 'সমুদ্র বিলাস' ভাড়া দেওয়া হয়। কড়ি ফেললেই মিলবে লেখকের অতীত অস্তিত্বের মাধুর্যের সান্নিধ্য। যদিও সেখানে থাকতে গুনতে হয় তুলনামূলক বাড়তি ভাড়া। একদিনের জন্য ডাবলবেড ঘরের ভাড়া ৪০০০ টাকা। দম্পতিদের ভাড়া গুনতে হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এই টাকা যায় হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের কাছে।


জানা গিয়েছে, হুমায়ূন আহমেদের শৈল্পিক মনের ছাপ 'সমুদ্র বিলাসে' এখনও টিকে আছে। রয়েছে সেই বাঁশ ও কাঠের তৈরি ফটক। উঠানে নারকেল গাছ। ফটক থেকে উঠান পর্যন্ত সুমদ্রবালির চিহ্ন।


তবে কটেজটি সমুদ্রসৈকতবিলাসী সকলের জন্যই উন্মুক্ত নয়। এর ফটকে লেখা 'কটেজের বোর্ডার ব্যতীত অন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ'। অন্যদের কটেজের সামনে গিয়ে ছবি তুলে কিংবা সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কটেজে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটায় তার সামনে কিছু দোকানপাটও গড়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে হিমুর স্রষ্টার এই নিভৃতবাসস্থলটি ইদানীং একটি ছোট্ট ট্যুরিস্ট স্পট যেন। 


আরও পড়ুন:  ডুডলের মাধ্যমে বাস্কেটবলের আবিষ্কারককে শ্রদ্ধা গুগলের