নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য জনসভায় জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে টানা ১০ ঘণ্টা পুলিসি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে জাকির নাইককে। শুধু তাই নয়, মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরও প্রকাশ্যে কোনও বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিস। কিন্তু এ বার তাঁর বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে জাকিরের মন্তব্য অত্যন্ত অনুচিত বলে ব্যাখ্যা করলেন ‘পিপলস জাস্টিস পার্টি’র সভাপতি আনোয়ার ইব্রাহিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাকির নাইকের যে বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছে, সে বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়। ইব্রাহিম বলেন, “আগের সরকার তাঁকে এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ডঃ মহাথির মহম্মদও তাঁর এ দেশে স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি মেনে নিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।” এর সঙ্গেই ইব্রাহিম বলেন, “এ দেশের সম্প্রদায়, জাতিগত বৈষম্য নিয়ে কথা বলা তাঁর উচিত হয়নি। আমি এ বিষয়ে জাকিরের সঙ্গে একমত নই।”



প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ভারতে জাকির নাইকের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের উস্কানি দেওয়া এবং অর্থ সাহায্যের অভিযোগ ওঠে। এ সময় তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁকে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।


আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় টানা ১০ ঘণ্টা জেরা জাকির নাইককে, কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিস


মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রোদায়ের মানুষ। বাকি ৪০ শতাংশ ভারতীয় এবং চিনের বংশোদ্ভূত মানুষ। ওই জনসভায় মালয়েশিয়া থেকে তাঁকে বহিষ্কারের আগে সেখান থেকে চিনাদের বের করে দেওয়া উচিৎ বলেও তিনি মন্তব্য করেন জাকির নাইক। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ জানান, জাকির নাইক তাঁর সীমা লঙ্ঘন করেছেন। কয়েকজন মন্ত্রী তাঁকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কার করার দাবি তুলেছেন। ১১৫টি অভিযোগের ভিত্তিতে জাকির নাইকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৫০৪ নম্বর ধারায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার আইনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।