সংবাদ সংস্থা: নতুন করে এবার গণিতের ইতিহাস লেখা শুরু হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলিয়ান লাইব্রেরির গবেষকদের দাবি তেমনই। যে সংখ্যাকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে অঙ্ক জগতের নানা ফর্মুলা, সেই সংখ্যার বয়স আরও কয়েক শতক বেড়ে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পেরোবে ১২৫০ কিমি, উদ্বোধন হল বিশ্বের দ্রুততম বুলেট ট্রেনের


এক কথায়, শূন্য-র ডেট অব বার্থ  পাল্টে যাচ্ছে। বদলিয়ান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত বখশালী পাণ্ডুলিপির কার্বন ডেটিং করে দেখা গিয়েছে, এই পাতাগুলির যা বয়স বলে মনে করা হয়েছিল তার থেকে আরও ৫০০ বছরের বেশি পুরনো এগুলি। এই পাণ্ডুলিপি থেকে পাওয়া শূন্য-র অস্তিত্বই সবচেয়ে পুরনো বলে মনে করা হয়।


১৮৮১ সালে অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে (বর্তমানে পাকিস্তানে) এক চাষির কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছিল বখশালী পাণ্ডুলিপি। ১৯০২ থেকে এটি বদলিয়ান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ৭০ পাতা বিশিষ্ট বখশালী পাণ্ডুলিপিতে সংস্কৃত ভাষায় অঙ্ক এবং তার নানা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মারকাস দু সওটরি বলেন, “ এগুলি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নিয়ামাবলি বলে মনে করা হচ্ছে।” প্রথমে গবেষকদের ধারণা ছিল এই পাণ্ডুলিপিটি তৈরি হয়েছিল ৯০০ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু কার্বন পরীক্ষা করার পর মনে করা হচ্ছে, ২২৪ থেকে ৩৮৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লেখা হয়েছে এই পাণ্ডুলিপি।


আরও পড়ুন- 'সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নেপথ্যে কোনও যুক্তি হয় না', আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব সুষমা


বখশালী পাণ্ডুলিপিতে বিন্দু চিহ্নে কয়েক’শো শূন্যর উল্লেখ রয়েছে। এই বিন্দু পরবর্তীকালে শূন্য হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়। পাণ্ডুলিপিতে ব্যবহৃত বিন্দু আসলে দশকের জায়গা পূরণ করত। যেমন, ৫০৫ যদি লেখা থাকে, ওই শূন্যের জায়গায় বসত বিন্দু। আসলে সে শূন্যের ভূমিকায় কাজ করত।


আরও পড়ুন- ছোট্ট মেয়েটার হৃদপিণ্ড কোথায় ধুকপুক করছে জানেন, দেখুন ভিডিও


শুধু ভারতেই শূন্যকে এমন জায়গা পূরণের ভূমিকায় দেখা যায়নি, এর আগে মায়ান, ব্যাবিলনের প্রাচীন সভ্যতায়ও দেখা গিয়েছে। তবে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জ্যোর্তিবিজ্ঞানী এবং গণিতজ্ঞ ব্রহ্মগুপ্ত প্রথম শূন্য সংখ্যা হিসাবে ব্যবহার করেন বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের মত।