ওয়েব ডেস্ক:এতদিন পরিচয় ছিল না। অস্তিত্ব, তাও না থাকার সামিল। যেন থেকেও নেই মানুষগুলি। সেই ছিটমহলের ছবি এবার বদলেছে। তাই একশো তিন বছরে এসে প্রথমবার প্রাপ্তবয়স্ক আসগর আলি। ভোট দেবেন এবার। ছেলে-নাতি সমেত তিন প্রজন্ম এই প্রথম গণতন্ত্রের উত্‍সবে সামিল।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছোট টিনের চালা।... খুপরির মতো ঘর। এও স্বর্গসুখ।
  
এরা এখন প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারেন। কেউ জিজ্ঞেস করে না পরিচয়। মুখ লুকোনোর দরকার পড়ে না। এতদিন যা করতে হত ছিটমহলে থেকে। দীর্ঘ কয়েক দশকের লড়াই, নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকার যন্ত্রণা পিছনে ফেলে এরা এখন স্বাধীন। ছোট্ট তিন অক্ষরের শব্দ, অথচ সবচেয়ে দামি। নিজের পরিচয় খুঁজে পেতে লেগে গেল গোটা একটা জীবন। ১৯১৩-তে জন্ম। ছিটমহলের অলি-গলিতে খুঁজে বেরাতেন নিজের পরিচয়, নিজের অস্তিত্ব। ১০৩ বছরে শেষপর্যন্ত তা পেলেন আসগর আলি। ...তাঁর মতেরও যে দাম আছে, এবার কে সরকার গড়বে তাতে তাঁরও একটা ভূমিকা থাকছে, এ ভাবনা যেন জীবনে নতুন মানে এনে দিয়েছে।  


শেখ আসগর আলি(১০৩ বছরের ভোটার).. খুব খুশি। ছেলে বেল্লাল, তাঁরও বয়স ৪৫। নাতি জয়নালের ২৩। সবাই মিলেই এবার তাঁরা ভোট দেবেন দিনহাটায়।