ওয়েব ডেস্ক: ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি। চিকিত্‍সার খরচ বেঁধে দেওয়া। কর্পোরেট হাসপাতালগুলির ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণে নতুন স্বাস্থ্য বিলে রয়েছে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগের আইনের চেয়ে যা অনেকটাই আলাদা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১০ এ বাম আমলের শেষের দিকে বিধানসভায় স্বাস্থ্যবিল পাশ হয়। বেসরকারি হাসপাতালকে নিয়মে বাঁধতে সেই বিল প্রত্যাহার করে নতুন বিল আনা হয়েছে। হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী আহত হলে পুরনো আইনে সর্বাধিক ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের সংস্থান ছিল। নতুন বিলে তা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।


হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী গুরুতর আহত হলে পুরনো আইনে সর্বাধিক ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের সংস্থান ছিল। নতুন বিলে তা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।  হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হলে পুরনো আইনে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণে সংস্থান ছিল। নতুন বিলে তা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে।


বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নজরদারির জন্য পুরনো আইনে বলা ছিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা। নতুন বিলে তুলনায় বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।  চিকিত্‍সা পরিষেবা খরচ নিয়ে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখার ক্ষমতা ছিল ট্রাইব্যুনালের। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে ইনডোর-আউটডোর দু'ক্ষেত্রেই চিকিত্‍সার খরচ ঠিক করে দেবে রেগুলেটরি কমিশন।  


পুরনো আইনটির নাম ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিশমেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন অ্যাক্ট। নতুন বিলে এর সঙ্গে স্বচ্ছতা বা ট্রান্সপারেন্সি শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।


নতুন বিলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, দুটি বিলের মাঝে সাত বছরের ব্যবধান রয়েছে। ফলে, মুদ্রাস্ফীতির অঙ্ক মাথায় রাখলে দেখা যাবে ক্ষতিপূরণের প্রকৃত পরিমাণ সেভাবে বাড়ছে না। (আরও পড়ুন- SSC-র ফলপ্রকাশে জটিলতা কাটল?)