ব্যুরো: বড় ব্যবধানে জেতানোই শুধু নয়, মর্যাদার লড়াইয়ে ভাইকে হলদিয়া বিধানসভায় বড় লিড দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনে খোয়া যাওয়া তমলুক এবং পাঁশকুড়া-পূর্ব বিধানসভা আসনেও একই ফল। সব মিলিয়ে তমলুক লোকসভা উপনির্বাচনে নিজের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে ভাই দিব্যেন্দুকে জেতালেন শুভেন্দু। প্রেস্টিজ ফাইটে সব সমালোচনা সোজা ব্যাটে পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


ঘাসফুল প্রতীকের পাশে ইভিএমে নামটা ছিল দিব্যেন্দু অধিকারীর। তবে mলড়াইটা আসলে লড়ছিলেন তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তমলুক থেকে দু লাখ ছেচল্লিশ হাজার চারশো একাশি ভোটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। উপনির্বাচনে দাদা শুভেন্দুর চেয়ে ভাই দিব্যেন্দুর জয়ের ব্যবধান দ্বিগুণের বেশি।


 


ভাইকে বড় ব্যবধানে জেতানোই শুধু নয়। শুভেন্দু অধিকারীর সামনে ছিল আরও বড় একটা চ্যালেঞ্জ। সেই পরীক্ষায় সফল তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে জয়ী হয় তৃণমূল।হলদিয়া, তমলুক, পাঁশকুড়া-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বামেরা। উপ-নির্বাচনে এই সাতটি বিধানসভাতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মর্যাদার লড়াইয়ে হলদিয়া, তমলুক, পাঁশকুড়া-পূর্ব বিধানসভা আসনে ভাই দিব্যেন্দুকে বড় লিড দিতে সক্ষম হয়েছেন শুভেন্দু।  


 


গত বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে ষোলোটির মধ্যে তিনটি আসনে হারে ঘাসফুল। শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বড় ব্যবধানে জিতলেও তাঁর লোকসভা আসনের মধ্যে থাকা তিনটি বিধানসভা আসনেই জিতে যায় বামেরা। শিল্পশহর হলদিয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। বিধানসভা ভোটে মানুষ সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন বলে দাবি করতে শুরু করে বিরোধীরা। উপ-নির্বাচনে সে সবেরই জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 



হলদিয়া-সহ ৩ বিধানসভা আসন পুনরূদ্ধার



বিধানসভা ভোটে সর্বত্র তৃণমূলের বিপুল জয়। আর যে জেলায় নন্দীগ্রাম সেই জেলাতেই কিনা তিন-তিনটে বিধানসভা আসনে পরাজয়! রাজনৈতিক মহল বলছে, তাঁর ক্যারিশমা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছিলেন তাঁদের মোক্ষম জবাব দিলেন শুভেন্দু। আত্মবিশ্বাসী পরিবহণ মন্ত্রী এখন বলছেন দক্ষিণ-কাঁথি বিধানসভার আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে এক লাখ ভোটে জেতাবেন তিনি।